রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

|২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ১৭ জুলাই ২০২৫

গাজা নিয়ে ‘সুখবর’ রয়েছে: ট্রাম্প

গাজা নিয়ে ‘সুখবর’ রয়েছে: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা ভূখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে 'সুখবর' রয়েছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকের আগে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তবে এই ‘সুখবর’টি কী—সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ জুলাই) হোয়াইট হাউসে এক বিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে উদ্দেশ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, গাজা প্রসঙ্গে আমাদের কিছু ভালো খবর রয়েছে এবং আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে কাজ চলছে। এ সময় তিনি উইটকফের কাজের প্রশংসাও করেন।

যদিও ট্রাম্প কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেননি, তবে তার এই মন্তব্য এসেছে এমন সময়ে, যখন তিনি হোয়াইট হাউসে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক নৈশভোজ বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানটি গণমাধ্যমের জন্য ‘ক্লোজড’ থাকলেও অতীতে এ ধরনের বৈঠকে ট্রাম্প প্রেসকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ রেখেছেন।

আনাদোলুর বরাতে জানা যায়, ট্রাম্প ও কাতারের প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা চলছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গত মঙ্গলবার দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় ‘নাটকীয় অগ্রগতি’ হয়েছে। ৬ জুলাই শুরু হওয়া এই আলোচনা মূলত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির লক্ষ্যে এগোচ্ছে।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ জানিয়েছে, চুক্তির পথে এখন আর বড় কোনো বাধা নেই। আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক নাম না প্রকাশ করা ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে 'অতিরিক্ত নমনীয়তা' প্রদর্শনের অনুমোদন দিয়েছেন, যা আলোচনা এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ১০ হাজারের বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ গৃহহীন। একইসঙ্গে অঞ্চলটিতে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, হামাস এখনও প্রায় ৫০ জন ইসরায়েলিকে বন্দি করে রেখেছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের কারাগারে ১০ হাজার ৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন।

ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, এসব বন্দির অনেকে নির্যাতন, খাদ্য সংকট এবং চিকিৎসা অবহেলার শিকার হচ্ছেন।