রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

|২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ৯ আগস্ট ২০২৫

অপারেশন সিঁদুর নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান

অপারেশন সিঁদুর নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান
ছবি: এনডিটিভি

গত জুন মাসে পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন ভারতীয় নিরীহ নাগরিক নিহত হন।  ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালন করেন নয়াদিল্লী।  এবার সেই সংঘাতের একটি বড় তথ্য প্রকাশ করেছেন ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত (এপি) সিং। তিনি দাবি করেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের কমপক্ষে ৬টি বিমান ধ্বংস করেছে। 

আজ শনিবার ( ৯ আগস্ট) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।  

শুক্রবার (৮ আগস্ট) কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‌'পাকিস্তানের কমপক্ষে ৫টি যুদ্ধবিমান এবং একটি সামরিক কার্গো বিমান আমরা ধ্বংস করেছি। ভূমি থেকে রকেট ফায়ারের মাধ্যমে বিমানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে আমরা ফায়ার করেছিলাম। এটা একটা রেকর্ড।এর পূর্বে আমরা কখনও ভূমি থেকে ফায়ার করে পাকিস্তানের এতগুলো যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করিনি।'

বিমান বাহিনীর প্রধান বলেন, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ব্যবহার করেই পাকিস্তানের ৬টি বিমানই ধ্বংস করা হয়েছে। বস্তুত, এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার তৈরি। পাকিস্তানি বিমান ভূপাতিতের পাশাপাশি আকাশপথে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে হামলার সময়েও বেশ কিছু পাকিস্তানি বিমানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের জাকোবাবাদে সামরিক ঘাঁটিতে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারের অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, যে ওই হ্যাঙ্গারের ভিতরে কিছু বিমান ছিল, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মাঝেই ৪ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মির, পাঞ্জাব ও সিন্ধে অভিযান পরিচালনা করে ভারতের বায়ূসেনারা। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী সেই অভিযানের নাম দেয় অপারেশন সিঁদুর। এর প্রতি উত্তরে ৭ জুন থেকে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ পরিচালনা করে পাকিস্তান। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই দেশ।