রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

|২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:০৫, ৯ আগস্ট ২০২৫

সাংবাদিক তুহিন হত্যা: কেটু মিজানসহ ৭ আসামি রিমান্ডে

সাংবাদিক তুহিন হত্যা: কেটু মিজানসহ ৭ আসামি রিমান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় কেটু মিজানসহ গ্রেপ্তার ৭ আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।

শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে গাজীপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আলমগীর আল মামুন এ আদেশ দেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় এবং পুলিশ তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে হাজির ৭ আসামি, রিমান্ডে নেওয়া হলো পুলিশ হেফাজতে
গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের পরিদর্শক আহসান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “আদালত সাত আসামির প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন এবং তাদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”

এর আগে শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে গাজীপুর নগরীর সালনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কেটু মিজান ও তার স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার পুরাতন বাজার এলাকা থেকে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড: সিসিটিভিতে ধরা পড়ে ভয়াবহতা
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি আটজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “তথাকথিত 'হানিট্রাপ'-এর মাধ্যমে টাকা তোলা নিয়ে বাদশা নামের এক ব্যক্তি ও এক নারী বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এই দৃশ্য ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। বিষয়টি বুঝে ফেলেই আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ভিডিও ডিলিট না করায় তাকেই টার্গেট করা হয়।”

কমিশনার আরও স্বীকার করেন, “পুলিশ সদস্যের স্বল্পতার কারণে অপরাধ দমন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের কিছুটা ব্যর্থতা রয়েছে। কর্মসংস্থানের অভাবও অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।”

গ্রেপ্তার ‘স্বাধীন’-এর জবানবন্দি: সরাসরি অংশগ্রহণের স্বীকারোক্তি
র‍্যাব-১৪-এর অধিনায়ক কে এম এ মামুন খান চিশতী জানান, ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত স্বাধীন নামে এক আসামিকে গাজীপুরের শিববাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, ঘটনার সময় সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যায় তিনিও অংশ নিয়েছিলেন।

স্বাধীন জানান, তুহিন একজন নারীর সঙ্গে বাদশা নামের এক ব্যক্তির কথাকাটাকাটি ও মারধরের ভিডিও করছিলেন। এরপরই তারা দলবদ্ধভাবে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

সম্পর্কিত বিষয়: