ট্রাম দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে কাজা-দো বাংলাদেশের শ্রদ্ধা নিবেদন

গত ৩ সেপ্টেম্বর পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের এলিভাদোর দা গ্লোরিয়াতে মর্মান্ত দুর্ঘটনা ঘটে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ৮ দেশের নারী শিশু সহ প্রায় ১৮ জন। এই দুর্ঘটনা পর্তুগালে ঘটে যাওয়া এখন পর্যন্ত স্মরণকালের সব থেকে বড় ।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় পরে দেশটি নেমে এসেছে শোকের ছায়া সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে দেশব্যাপী এক দিনের শোক ঘোষণা করা আর লিসবন সিটিতে ৩ দিন শোক।
দুর্ঘটনার স্থানে বিভিন্ন দেশের শ্রেণী পেশার মানুষ ফুল মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসে, শোক শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্মরণ করেন দুর্ঘটনায় নিহতদের। স্থায়ী সময় সকাল ১১টায় পর্তুগালের বসবাস করা বাংলাদেশীদের আশার বাতি ঘর -কাজা-দো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো শোক ও শ্রদ্ধা নিবেদন।
শ্রদ্ধা শেষে ১ মিনিট নিরাবতা পালন করে, এসময় উপস্থিত ছিলেন কাজা-দো বাংলাদেশের এম হাকীম মিনহাজ,রনি হুসাইন, মাসুম আহমেদ, ইকবাল হোসেন কাঞ্চন , শাহীদ আহমেদ প্রিন্স , শাহিন হুসাইন,লাবনী খাতুন , হাফিজ আল আসাদ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে এম এ হাকিম মিনহাজ বলেন, আমি অত্যন্ত শোক এবং শ্রদ্ধা যাপন করছি এবং সরকারের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি পুরাতন এই ট্রাম গুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যেন ভবিষ্যতে আর এ ধরনের বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটে , কেননা আমাদের কাছে কোন মৃত্যুই কাম্য নয়।
রনি হুসাইন বলেন, আমরা যারা পর্তুগালে বসবাস করি পর্তুগালের সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে, পর্তুগাল হাসলে আমরা হাসি পর্তুগাল কাঁদলে আমরাও কাঁদি তারই অংশ হিসেবে আমরা এখানে এসেছি তাদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।
মাসুম আহমেদ বলেন, গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করছি ৩ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া সবাইকে। আমাদের কাছে কোনই মৃত্যু কাম্য নয় পর্তুগাল তথা বিশ্বের সাথে আমরাও শোকাহত এবং মর্মাহত এই ঘটনায়।