আশরাফুল হত্যায় র্যাব–পুলিশের দুইরকম তথ্য: অর্থের ফাঁদ নাকি ত্রিভুজ প্রেম?
রাজধানীতে হাইকোর্টের সামনে ড্রামে পাওয়া বিখন্ডিত ব্যবসায়ী আশরাফুল হক (৪২) হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে র্যাব ও পুলিশের পৃথক তদন্তে উঠে এসেছে দুই রকম তথ্য।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে দুই বাহিনীর আলাদা সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতার হওয়া দুজন জরেজুল ইসলাম (৩৯) ও শামীমা আক্তারের জবানবন্দি থেকে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যের তথ্য উঠে আসে।
র্যাব-৩ জানায়, জরেজুল ও শামীমা মিলে প্রেমের ফাঁদ পেতে আশরাফুলের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আশরাফুলকে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। এরপর শামীমার সঙ্গে আশরাফুলের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তা দিয়ে অর্থ আদায়ের পরিকল্পনা ছিল। ১২ নভেম্বর অচেতন অবস্থায় তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগানো হয় এবং হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। পরদিন মরদেহ টুকরা করে দুটি প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে হাইকোর্ট এলাকায় ফেলে আসা হয়।
অন্যদিকে, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, পুরো ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিভুজ প্রেমের জেরে। ডিবির তথ্যমতে, মালয়েশিয়াপ্রবাসী জরেজুলের সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে শামীমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে জরেজুলের স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে তার বন্ধু আশরাফুলের সহায়তা চান। কিন্তু আশরাফুল নিজেই শামীমার প্রেমে পড়ে যান। তিনজন ঢাকায় একই বাসায় ওঠার পর সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে তর্কের মাঝে উত্তেজনা থেকেই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানায় ডিবি।
দুই বাহিনীর দুই রকম বর্ণনায় ঘটনার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে প্রকৃত কারণ আরও স্পষ্ট হবে।
সদ্য সংবাদ/এমটি



























