হাসিনা ১২টা, এই সরকার চব্বিশটা বাজিয়েছে: মির্জা আব্বাস

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘দেশের অবস্থা হাসিনা ১২টা বাজিয়েছে, এ সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে।’
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে।
মির্জা আব্বাস বলেন, “অনেক কিছু বলার আছে, কিন্তু এখন অবস্থানের কারণে সব বলা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের কোথায় কীভাবে ক্ষতি হয়েছে, কারা কত টাকা লুট করেছে—সবকিছুর প্রমাণ রয়েছে। তবে এখনই সব প্রকাশ করছি না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “যেখানে খুন, লুটতরাজ, চাঁদাবাজি হয়—সেখানে বিএনপির নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে।”
আলোচনায় জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিকেও ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, “আপনাদের যেমন ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ আছে, আমাদেরও আছে। কিন্তু সেটা হতে হবে ভোটের মাধ্যমে। আমরা ১৭ বছর ধরে ভোটের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছি।”
বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টে যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তারা প্রশাসনের হোক বা সাধারণ মানুষ, কিংবা প্রধানমন্ত্রী হোক—সবারই বিচার জরুরি। কিন্তু বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না—এমন কথা গ্রহণযোগ্য নয়।”
জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হেলাল উদ্দীন, শহীদ মিরাজের বাবা আব্দুর রব মিয়া প্রমুখ। সভা শেষে জাসাসের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন।