তীব্র দাবানলে পুড়ছে পর্তুগালের বনাঞ্চল

তীব্র দাবানলে পুড়ছে পর্তুগালের বন অঞ্চল। দেশটির অন্তত চারটি শহরের বনাঞ্চল বর্তমানে ভয়াবহ আগুনের কবলে পড়েছে। প্রচণ্ড গরম, শুষ্ক আবহাওয়া ও প্রবল বাতাসের কারণে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া দাবানলে ইতোমধ্যে প্রায় ৬,০০০ হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে। ইউক্যালিপটাস ও পাইন গাছের বনায়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দাবানলের প্রভাবে বহু এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া তিনটি বড় দাবানলের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে Arouca এলাকায়। এই দাবানলের কারণে Passadiços do Paiva রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানকার বহু বিদেশি পর্যটক আটকা পড়েন।
অন্যদিকে Peneda‑Gerês জাতীয় উদ্যানের কাছে শুরু হওয়া আরেকটি দাবানলে বেশ কয়েকটি গ্রাম ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে যায়। বাসিন্দাদের ঘরের ভিতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। দেশজুড়ে দাবানলের ঝুঁকি বাড়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোকে উচ্চ থেকে সর্বোচ্চ আগুনঝুঁকির সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
দাবানল নিয়ন্ত্রণে ১,৩০০’র বেশি দমকলকর্মী মাঠে কাজ করছেন। আগুন নেভাতে ১২টি জলবিমানও ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে প্রাকৃতিক পরিবেশ, উচ্চ তাপমাত্রা ও বাতাসের কারণে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাবানলের পেছনে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় কারণ। চলতি বছরের শেষ জুনে পর্তুগালে রেকর্ড ৪৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একই সময়ে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ এবং শুষ্ক ঝড় দাবানলের বিস্তারকে আরও ত্বরান্বিত করছে।
পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ বিষয়ক সংস্থাগুলো আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।