বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৮:০৮, ১ অক্টোবর ২০২৫

দূতাবাস-কনস্যুলেট থেকে ছবি অপসারণের ঘটনায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রপতির চিঠি

দূতাবাস-কনস্যুলেট থেকে ছবি অপসারণের ঘটনায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রপতির চিঠি
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চিঠিটি প্রকাশ করেছেন।

চিঠিতে রাষ্ট্রপতি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে স্বাক্ষর করেছেন। তবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এখনও চিঠি পেয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি সাংবাদিক সায়ের।

রাষ্ট্রপতি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের কূটনৈতিক অফিস থেকে তার ছবি অপসারণের ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে অপমানিত বোধ করছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, রাষ্ট্রপতির আসনে থাকা একজন নাগরিক যাতে অপদস্ত না হয়, সে ক্ষেত্রে কি কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়া যেত না। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাংবিধানিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন এবং সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যা হয়নি, তা তিনি করছেন; প্রায় অর্ধশতাধিক অর্ডিন্যান্স জারি করে সরকারকে আইনগত পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। ৫ থেকে ৮ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত দেশের সংকটকালে তার কার্যক্রমও প্রণিধানযোগ্য। তিনি আরও বলেন, সরকারের উত্থাপিত সকল কার্যক্রমে তার অবস্থান স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক, কিন্তু ছবি অপসারণের ক্ষেত্রে এই ধরনের দৃষ্টিকটু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, জিরো পোর্ট্রেট নীতি সরকারের সমর্থন রয়েছে এবং সেই নীতি কৌশলে বাস্তবায়ন করলে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকত। এক রাতের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ছবি অপসারণের ফলে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা একজন সচেতন নাগরিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

চিঠির শেষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, এ বিষয়ে কোনো অনুযোগ নেই, তবে এক ধরনের আর্তনাদ প্রকাশ করেছেন।