ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র কিছু জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলের ঘোষিত বিপৎসীমায় প্রবেশ করেছে। আয়োজকদের মতে, নৌবহরটি বর্তমানে গাজার উপকূল থেকে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার বা ১২১ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে।
আগেরবারের মতো এবারও ফ্লোটিলার অগ্রযাত্রা আটকে দিতে ইসরাইল পদক্ষেপ নিতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ নৌবহর আটকানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে। এর আগেও ফ্লোটিলায় থাকা শত শত কর্মীকে আটক করে নির্বাসিত করা হয়েছিল, আবার কিছু জাহাজ সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারের অভিযান ইহুদিদের অন্যতম পবিত্র দিন ইয়ম কিপ্পুর উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরাইলি সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, ফ্লোটিলা নিয়ন্ত্রণে নিতে নৌবাহিনীর কমান্ডো ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, নৌবহরে থাকা শত শত যাত্রীকে একটি বড় নৌযানে স্থানান্তর করা হবে, পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আশদোদ বন্দর হয়ে বহিষ্কার করা হবে। তবে ৫০টির বেশি নৌযান একসঙ্গে টেনে নেওয়া সম্ভব নয়, ফলে কিছু জাহাজ সাগরে ডুবিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
গাজার ওপর দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ ও ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে সেখানে তীব্র দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে অবরোধ ভাঙতে চলতি মাসের শুরুতে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা যাত্রা শুরু করে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু জানিয়েছে, ইতালি নিরাপত্তা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর বুধবার সকালে একটি ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ ফ্লোটিলার প্রধান জাহাজ আলমা-এর পাঁচ ফুটের মধ্যে চলে আসে। এসময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ইঞ্জিন জ্যাম করে দেওয়া হয়।
আল জাজিরার এক সাংবাদিক জানান, পরিস্থিতি বুঝে জাহাজে থাকা অধিকারকর্মীরা নিরাপত্তা প্রোটোকল মেনে তাদের মোবাইল ফোন সমুদ্রে ফেলে দেন। কিছুক্ষণ পর ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজটি এলাকা ত্যাগ করলে আলমা ফের যাত্রা শুরু করে এবং নৌবহরের সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হয়।
ফ্লোটিলায় বর্তমানে ৫০টিরও বেশি নৌযান রয়েছে, যেখানে আছেন ৫০০-এর বেশি কর্মী ও যাত্রী। বহরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।