ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আলাস্কায়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী শুক্রবারে আলাস্কায় চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি জানান, পরে সেই তথ্য নিশ্চিত করেন ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেইনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আলাস্কা তুলনামূলকভাবে রাশিয়া থেকে নিকটে হওয়ায় ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার স্থান হিসেবে এই জায়গা ঠিক করা হয়েছে। ক্রেমলিনের ওই মুখপাত্র বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সম্ভাব্য দ্বিতীয় সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এই যুদ্ধের অবসান হতেইউক্রেইনকে তার কিছু ভূখণ্ড ছাড়তে হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন ইঙ্গিতের কয়েক ঘণ্টা পর দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের স্থান ও তারিখ জানা গেল।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প বলেন, ‘ আপনি এমন ভূখণ্ডের দিকে তাকিয়ে আছেন, যেটা নিয়ে গত সাড়ে তিন বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। অনেক ইউক্রেইনীয় প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেক রুশ নিহত হয়েছে। আমরা জটিল বিষয়েটিকে কিছু অদলবদলে মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি, যা উভয়ের জন্য ভালো হবে।
তবে এখনও অস্পষ্ট রয়েছে ইউক্রেইন এবং ইউরোপীয় নেতারা এই ধরনের কোনো প্রস্তাবে রাজি হবে কিনা। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে একাধিকবার ভূখণ্ড ছাড়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সিবিএসকে বলেছেন, শুক্রবার আলাস্কার বৈঠকের সবকিছু এখনও চূড়ান্ত হয়নি। জেলেনস্কিকে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত করার সম্ভাবনা এখনও আছে। যুদ্ধ বন্ধে চলতি বছর কিইভ ও মস্কোর আলোচকদের মধ্যে তিন দফা মুখোমুখি বৈঠক হলেও যুদ্ধবন্দি বিনিময় ছাড়া সেসব বৈঠকে কোনো ধরনের অগ্রগতি দেখা যায়নি।
ইউক্রেইনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর এখন পর্যন্ত রাশিয়া তার দাবি বদলায়নি। এসবের মধ্যে আছে- কিইভ নেটোসহ কোনো সামরিক জোটে যোগ দিতে পারবে না, তাকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীকে ছোট করে আনতে হবে।