বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২১ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:০০, ৯ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৮:০৯, ৯ জুলাই ২০২৫

রাশিয়া-চীনকে বোমার হুমকি ট্রাম্পের: অডিও ফাঁস

রাশিয়া-চীনকে বোমার হুমকি ট্রাম্পের: অডিও ফাঁস
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের একটি অনুষ্ঠানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, ইউক্রেনে হামলা বন্ধ না করলে মস্কো এবং তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনা বাড়লে বেইজিংয়ে বোমা ফেলবেন বলে দুই বিশ্বনেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি নিজে।

সম্প্রতি সিএনএনের হাতে আসা একটি ফাঁস হওয়া অডিও থেকে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পুতিনকে বলেছিলাম, ইউক্রেনে হামলা বন্ধ না করলে আমি মস্কোয় বোমা ফেলব। তখন সে বলেছিল, সে আমাকে বিশ্বাস করে না। তবে আমি জানি, অন্তত ১০ শতাংশ হলেও সে বিশ্বাস করেছিল।’

একই বৈঠকে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি সি চিন পিংকেও হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, তাইওয়ানে হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ে পাল্টা আঘাত হানবে। ওই সময় ট্রাম্পের ভাষায়, “সি ভেবেছিল আমি পাগল।” যদিও তিনি দাবি করেন, তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক কখনো খারাপ হয়নি।

এই আলাপচারিতা ২০২৩ সালে নিউইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে রেকর্ড করা হয়। সিএনএন জানায়, জোশ ডসি, টাইলার পেজার এবং আইজ্যাক আর্নডরফ নামে তিন সাংবাদিক তাদের নতুন বই ‘২০২৪’-এর জন্য এসব অডিও সংগ্রহ করেছিলেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ফাঁস হওয়া এই অডিওতে ট্রাম্পের এমন এক চেহারা প্রকাশ পেয়েছে, যা সাধারণত জনসমক্ষে দেখা যায় না। পুতিন ও সি চিন পিংকে নিয়ে তার বক্তব্যে আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে।

অডিওতে আরও শোনা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প। এক দাতা উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, এই বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আসতে পারে। ট্রাম্প উত্তরে বলেন, “আপনারা যদি আমাকে জিতিয়ে আনেন, তাহলে এসব আন্দোলনকে আমি ২৫ থেকে ৩০ বছর পিছিয়ে দেব। ওরা বড় ভুল করছে। দেশ থেকে বের করে দিলেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।”

পুতিন ও সি’র সঙ্গে কথোপকথনের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প দাবি করেন, জো বাইডেনের বদলে যদি তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তাহলে ইউক্রেন ও গাজার যুদ্ধ শুরুই হতো না। এমন দাবি আগেও একাধিকবার করেছেন তিনি।

আরেক তহবিল সংগ্রহ সভায় রিপাবলিকানদের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন ট্রাম্প। তার অভিযোগ, ‘রাষ্ট্রের সুবিধাভোগীরা সব সময় ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেয়। তারা একটি শক্ত ভোটব্যাংক গড়ে তুলেছে।’

তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটদের পেছনে রয়েছে ইউনিয়ন, সিভিল সার্ভিসের মতো সংগঠিত গোষ্ঠী, যারা প্রচুর অর্থ অনুদান দেয়। ফলে রিপাবলিকানদের জন্য আরও বেশি ডোনেশন সংগ্রহ করাটা অত্যন্ত জরুরি।’

এই বক্তব্যের একপর্যায়ে ইহুদি সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার ইহুদি বন্ধুদের বলতে চাই, আপনাদের উচিত ইহুদি ভোটারদের রিপাবলিকানদের পক্ষে ভোট দিতে উৎসাহিত করা।’