চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা ভারতের জন্য হুমকি: অনিল চৌহান

চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করতে পারে—এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান।
অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক এখন অত্যন্ত গভীর। এর সঙ্গে যদি বাংলাদেশও যুক্ত হয়, তাহলে ভারতের জন্য তা কৌশলগতভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।’
সাম্প্রতিক ভারত-পাক সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্রথমবারের মতো দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ সরাসরি সামরিক শত্রুতায় লিপ্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজন’।
জেনারেল চৌহান জানান, গত পাঁচ বছরে পাকিস্তান তার ৭০–৮০ শতাংশ অস্ত্র চীন থেকে আমদানি করেছে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা অনেক অস্ত্রই সরাসরি চীনা উৎপাদিত , যার মধ্যে কিছু অস্ত্র ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহারও হয়েছে।
তার ভাষায়, ‘চীন পাকিস্তানকে অস্ত্রের লাইভ ল্যাবরেটরি হিসেবে ব্যবহার করছে। পাকিস্তানের মাধ্যমে চীনা অস্ত্রের কার্যকারিতা যাচাই করছে বেইজিং।’
জেনারেল চৌহান আরও বলেন, ‘চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের স্বার্থে মিল রয়েছে’। তিনি দাবি করেন, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। যদিও এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে কোনো সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়নি এবং এটি এখনো বিতর্কিত একটি দাবি।
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ধরে চৌহান বলেন, ‘বাইরের শক্তিগুলো অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলোকে কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী। এটি ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি’।
ভারতের জেনারেল বলেন, ‘ভারতকে পুরনো ও নতুন উভয় ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এখনকার যুদ্ধ শুধু অস্ত্রের লড়াই নয়, তথ্য, অর্থনীতি ও মনস্তাত্ত্বিক কৌশল দিয়েও যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে’।