বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য স্পোর্টস

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ১০ জুলাই ২০২৫

শ্রীলঙ্কায় ব্যাটিং ব্যর্থতায় গুঁড়িয়ে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কায় ব্যাটিং ব্যর্থতায় গুঁড়িয়ে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

পূর্ণিমার দিনে উৎসবের আমেজে ভাসছিল ক্যান্ডি। স্থানীয়দের ভাষায় "এসালা ফুলমুন পোয়া" উপলক্ষে শহরে ছুটি, রাস্তায় নেচে-গেয়ে প্রার্থনা করে মাঠমুখী হন হাজারো মানুষ। সন্ধ্যায় পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতেও ছিল সেই প্রাণের ছোঁয়া। তবে মাঠে বাংলাদেশের ব্যাটিং যেন ভিন্ন এক গল্প বলেছে  ম্লান, হতাশাজনক এবং বিভ্রান্তিকর।

প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১৫৪ রান তোলে, যা শুরুর ঝড়ো উদ্বোধন সত্ত্বেও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। আর সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাবে খেলতে থাকে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ ওভারেই রানবোর্ডে উঠে যায় ৮৩ রান, যা কার্যত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণই কেড়ে নেয়। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকরা এক ওভার হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে।

ম্যাচের সবচেয়ে হতাশাজনক দিক ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং পরিকল্পনা ও একাদশ নির্বাচন। টপ অর্ডারে পারভেজ ও তানজিদের উদ্বোধনী ৫ ওভারে ৪৬ রান ভালো শুরু মনে হলেও, পরবর্তী ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় সেই ছন্দ আর ধরে রাখা যায়নি। অধিনায়ক লিটন দাস নামেন ধীরগতিতে, বিদায় নেন এলবিডব্লিউ হয়ে, সঙ্গে নিয়ে যান এক অপচয় রিভিউ। তিন বছর পর ফেরা মোহাম্মদ নাঈম যেন ব্যাট হাতে সময় নষ্ট করার দায়িত্ব নিয়েই নেমেছিলেন। তাওহীদ হৃদয় ও মিরাজের ব্যর্থতা পরিস্থিতি আরও করুণ করে তোলে।

সবচেয়ে বিস্ময়কর ছিল অভিজ্ঞ মুস্তাফিজুর রহমানকে একাদশের বাইরে রাখা। তাঁর জায়গায় জায়গা পান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনিয়মিত সাইফউদ্দিন, যিনি বল হাতেও তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি। টি-টোয়েন্টিতে পরীক্ষিত মুস্তাফিজকে বাইরে রেখে ‘সাহসী বার্তা’ দেওয়ার চেষ্টা হয়তো ছিল, কিন্তু তার চেয়ে বেশি ধরা পড়ে গেছে পরিকল্পনার ঘাটতি ও বোলিং শক্তির দুর্বলতা।

বাংলাদেশের বোলাররা সোজাসুজি লেন্থ বল করে যেন প্রতিপক্ষের কাজ আরও সহজ করে দিয়েছিলেন। লঙ্কানদের তাণ্ডব ঠেকাতে একমাত্র উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত ছিল শামীম হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে কুশল মেন্ডিসের বিদায় ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস থেমেছে তাতেই।

শেষ দিকে শামীমের ব্যাটে ৫ বলে ১৪ রানের ছোট ক্যামিও বাংলাদেশকে কিছুটা সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছাতে সাহায্য করলেও, ততক্ষণে ম্যাচ হাতছাড়া। ব্যাটিং ভারসাম্য বাড়াতে গিয়ে বোলিং দুর্বল করে ফেলার খেসারত দিতে হলো পুরো দলকে।

সর্বশেষ