সাংবিধানিক সংকটে ‘জরুরি অবস্থা’তে সংযুক্তির প্রস্তাব এবি পার্টির

সাংবিধানিক সংকটকে জরুরি অবস্থা জারির আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১১তম অধিবেশনে দলটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এ প্রস্তাব তুলে ধরেন।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ব্যারিস্টার ফুয়াদ জানান, সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জরুরি অবস্থা, এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য দেখা গেছে।’
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতির নিয়োগ একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় হওয়া জরুরি। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে যেন এই নিয়োগ হয়, দলীয় বিবেচনায় নয়—এটি আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি।’
ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও জানান, কমিশনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের ২ জন সিনিয়র বিচারপতির মধ্য থেকে প্যানেল গঠনের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবনায় একমত হলেও প্যানেলের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
সংলাপে দলের আরেক নেতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক বলেন, “জরুরি অবস্থা জারির ক্ষেত্রে কমিশনের প্রস্তাব ছিল প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি মন্ত্রীপরিষদকেও সম্পৃক্ত করা। আমরা এবি পার্টি এটিকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক করতে বিরোধী দলগুলোকেও যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছি।”
তিনি আরও জানান, বর্তমান সংবিধানে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার শর্ত হিসেবে যুদ্ধ, বহিঃশত্রুর আক্রমণ এবং অভ্যন্তরীণ গোলযোগের বিষয় উল্লেখ রয়েছে। তবে কমিশন অভ্যন্তরীণ গোলযোগের অংশটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। এবি পার্টি এখানে ‘সাংবিধানিক সংকট’কে নতুনভাবে যুক্ত করার দাবি জানায়, যাতে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়।