বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

এবি পার্টি

এবি পার্টি

কয়েকটি দলের জেদ ও ভুলের কারণে নির্বাচন হুমকির মুখে পরবে: মজিবুর রহমান

কয়েকটি দলের জেদ ও ভুলের কারণে নির্বাচন হুমকির মুখে পরবে: মজিবুর রহমান

দীর্ঘ আলোচনা ও যুক্তি তর্কের পর সকলের ঐক্যমত্যে জুলাই সনদ চুড়ান্ত হলেও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের অনমনীয় জেদ ও ভুলের কারণে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছে এবি পার্টি। রোববার দলের জাতীয় নির্বাহী কাউন্সিলের এক বিশেষ সভায় দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এ উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দলের কর্মনীতি নির্ধারণ, জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি ও জোট গঠন সম্পর্কিত আলোচনার জন‍্য আজ সন্ধ্যায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত  হয়। এনইসি’র বিশেষ এ সভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর। 

বিএনপি-জামায়াতকে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করা উচিত: মজিবুর রহমান 

বিএনপি-জামায়াতকে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করা উচিত: মজিবুর রহমান 

সবার মনে শঙ্কা ফেব্রুয়ারিতে আদৌ নির্বাচন হবে কিনা? জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব হলেও রাজপথে কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে আবারও সংশয় দেখা দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিএনপি ও জামায়াতের বিরোধকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন মাত্র ৭ বছর আগে দলীয় স্বার্থে দুই দল একই মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছেন। এখন জাতির বৃহত্তর স্বার্থে উভয় দল একজোট-এক মার্কা নিয়ে নির্বাচন করলে সমস্যা কোথায়! তিনি বলেন আমি মনেকরি এর ফলে নির্বাচন নিয়ে আর কোন অনিশ্চয়তা থাকবেনা।

‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই’ 

‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই’ 

জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আহুত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে তৃতীয় পর্যায়ের আজকের সভায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই’। সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লিখা বা সংবিধান বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা হলো জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা হলো জনগণের।