‘শাপলা’ প্রতীকের বিষয়ে নিজস্ব নিয়ম-কানুন মেনে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দাবিকৃত ‘শাপলা’ প্রতীকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন নিজস্ব নিয়ম-কানুন মেনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সদস্য আবদুর রহমানেল মাসউদ। তিনি বলেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার মন্তব্য নিয়ে এ আলোচনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) মান্না জানিয়েছেন, যদি শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দেওয়া হয়, তাহলে নাগরিক ঐক্য কোনো মামলা করবে না বা কোনো দাবি রাখবে না। এর প্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো পক্ষের অনুরোধ বা আপত্তি শুধু বিবেচনার বিষয় নয়; কমিশন নিজস্ব নিয়ম-কানুন অনুসারে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির লিগ্যাল উইং নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করেছিল যে শাপলা প্রতীক পেতে কোনো আইনি বাধা নেই। কিন্তু কমিশন তখন জানিয়েছিল, রাজনৈতিক কারণে শাপলা প্রতীক আগে নাগরিক ঐক্য চেয়েছিল। মান্নার মন্তব্যের পর রাজনৈতিক বাধাও দূর হয়ে গেছে। এনসিপির একাধিক নেতা তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর নাগরিক ঐক্য প্রথমে শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, কিন্তু দেওয়া হয়নি। পরে এনসিপি এটি চেয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছিলেন, কেন শাপলা দেওয়া হবে না তার ব্যাখ্যা কমিশন দেবে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নাগরিক ঐক্য নির্বাচনে নিবন্ধন পেয়েছিল এবং ‘কেটলি’ প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া দলের নয় মাস পর ১৭ জুন শাপলা বা দোয়েল পাখি প্রতীক বরাদ্দের জন্য আবেদন করে।
ইসিতে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২টি। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৬টি দল নিবন্ধন পেয়েছিল; পরে আদালতের নির্দেশে কিছু দলের নিবন্ধন বাতিল হলেও বর্তমানে মোট ৫৬টি প্রতীক রয়েছে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ১৩টি দলের আবেদন পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে।



























