‘বৈষম্যের শিকার’ ২৫ ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্তরা পদোন্নতি চান
প্রশাসন ছাড়া অন্য ২৫টি বিসিএস ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্তরা পদোন্নতি, সুবিধা ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ঢাকার ৭ কলেজের স্বকীয়তা ও শিক্ষার মান রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি তুলে ধরেন ‘বৈষম্যবিরোধী অবসরপ্রাপ্ত ২৫ ক্যাডার সমন্বয় পরিষদ’র সমন্বয়ক আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাদের বঞ্চনা লাঘবে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ নেয়। এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত ও প্রয়াত মিলে প্রায় ৭৭৮ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়। অথচ অন্য ২৫টি ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত মাত্র ৭২ জন কর্মকর্তাকে একই সুযোগ দেওয়া হয়। যাচাই–বাছাইয়ের নামে অনেক কর্মকর্তাকে কোনো কারণ ছাড়াই বাদ দেওয়া হয়। তাছাড়া, ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আদেশেও বৈষম্য দেখা গেছে।
তারা দাবি জানান, ২৫ ক্যাডারের সব বঞ্চিত কর্মকর্তার আবেদন পুনর্বিবেচনা করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মতো ভূতাপেক্ষ বেতন–ভাতাসহ সব আর্থিক সুবিধা দিতে হবে।
আরও বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশকে আড়াল করে, অত্যন্ত কম গুরুত্বপূর্ণ ও অযৌক্তিক কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই সনদকে দুর্বল করা হয়েছে। এর একটি হল- সিভিল সার্ভিসে নিয়োগের জন্য তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন। [সরকারি কর্মকমিশন (সাধারণ); সরকারি কর্মকমিশন (শিক্ষা) ও সরকারি কর্মকমিশন (স্বাস্থ্য)] এবং অপরটি হলো- হিসাব বিভাগ থেকে নিরীক্ষা বিভাগ আলাদাকরণ। যদি হিসাব বিভাগকে নিরীক্ষা বিভাগ থেকে পৃথক করা হয়, তবে প্রি-অডিট কার্যক্রম বিলুপ্ত হবে, যা আর্থিক জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করবে।
তারা আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজ নিয়ে শিক্ষাখাতে নতুন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। দেশসেরা কলেজগুলো বন্ধ করে অনুমান নির্ভর বা পরীক্ষামূলক কোর্স পরিচালনা সঠিক নয়। তাই, শিক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণের সুপারিশের আলোকে, এবং অংশীজনদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সদ্য সংবাদ/এসএইচ



























