শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

|৯ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

ফিরলেন ৩০৯ জন, লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রে বাংলাদেশি
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে বিএনপিতে ফিরলেন সাত
নেতাপশ্চিম তীরে ‘ইসরাইলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের নিন্দা
নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন আহমদ
রুশ তেলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব জ্বালানির বাজারে কতোটা পড়বে?
নসিংদীতে বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও দুই যাত্রী নিহত
যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় দুর্ভিক্ষ কমেনি: ডব্লিওএইচও
নির্বাচনে মাঠে থাকবে ছয় লাখ আনসার সদস্য
উপদেষ্টারা প্রার্থী হতে পারবেনা, দাবি নাগরিক জোটের
২৪ ঘণ্টায় ৪৬৮ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহসাই থামছে না, ট্রাম্পের গলদঘর্ম
এইচ-১বি ভিসা সংস্কারে হোয়াইট হাউসের সমর্থন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৫০, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি-গণভোট শেষে জাতীয় নির্বাচন দাবি জামায়াতে ইসলামীর

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি-গণভোট শেষে জাতীয় নির্বাচন দাবি জামায়াতে ইসলামীর
ছবি: সদ্য সংবাদ

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা ও গণভোট সম্পন্ন হওয়ার পরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জেলা রোকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি জানান তিনি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, 'জুলাই সনদের আইনি আদেশ জারি করতে হবে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরে। এটি প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরে নয়, প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরে জারি হলেই এর পূর্ণ আইনি বৈধতা পাবে।'

তিনি বলেন, 'জুলাই সনদকে শক্তিশালী করতে গণভোট অপরিহার্য। আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত হয়েছি। বিএনপিও শেষে এসে এতে সম্মত হয়েছে। তবে তারা বলছে, একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করতে হবে। কিন্তু আমরা মনে করি, দীর্ঘদিন মানুষ ভোট দেয়নি, এবার প্রায় তিন কোটি নতুন ভোটার অংশ নেবেন। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে ভোটাররা বিভ্রান্ত হতে পারেন। তাই আগে গণভোট, পরে জাতীয় নির্বাচন হওয়াই যৌক্তিক।'

রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, 'অতীতে ১৬-১৭ দিন আগে গণভোটের নজির রয়েছে। আমরা নির্বাচনের বিরোধী নই। আগামী সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা হলেও জামায়াতে ইসলামী প্রস্তুত আছে। তবে তার আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে, গণভোট সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।'

তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসনের বেশিরভাগ কর্মকর্তা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কর্মীর ভূমিকা পালন করছেন। তাদের পুনর্বিন্যাস করে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতে হবে।

দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস উল্লেখ করে জামায়াতের এ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, 'গত ৫৪ বছরে তিনটি দল ক্ষমতায় এসেছে। এর মধ্যে একটি দল দীর্ঘ ১৬ বছর জোর করে ক্ষমতায় থেকে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। আরেকটি দল দালালি করতে করতে বিলুপ্ত হয়েছে, আরেকটি দল ক্ষমতায় থেকে বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে তারা দেশের সম্পদ লুটে নিয়েছে, চাঁদাবাজি করে মানুষকে অতিষ্ট করেছে।'

তিনি দাবি করেন, দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। “সব দলকে মানুষ দেখেছে। এবার তারা বলছেন—হবে জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ,” বলেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

তিনি আরও জানান, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এলে জামায়াতে ইসলামী দেশের ১৮ কোটি মানুষের ‘৩৬ কোটি হাতের শক্তি’ কাজে লাগিয়ে মহাউন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

সম্মেলনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা শাহিনুর আলম, সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, শহর জামায়াতের আমির মো. শহিদুল ইসলামসহ জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শুভ শেখ/এমটি

সর্বশেষ