রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ৬ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৯:০০, ৬ অক্টোবর ২০২৫

‘এফ’ শব্দে নেতানিয়াহুকে তিরস্কার ট্রাম্পের

‘এফ’ শব্দে নেতানিয়াহুকে তিরস্কার ট্রাম্পের
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে সাম্প্রতিক এক ফোনালাপে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হামাসের প্রতি ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে নেতানিয়াহুর নেতিবাচক মনোভাবেই এ বিরূপ অবস্থা তৈরি হয়। খবর এনডিটিভি ও অ্যাক্সিওস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের করা এক শান্তি প্রস্তাবে হামাস কিছু শর্ত সাপেক্ষে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়। হামাস জানায়, তারা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত, যদি ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করে ও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এই অবস্থার পরেই ট্রাম্প ফোন করেন নেতানিয়াহুকে, যাতে ইসরায়েলও শান্তির পথে আসতে রাজি হয়।

কিন্তু ফোনালাপে নেতানিয়াহু পুরোপুরি ভিন্ন সুরে কথা বলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে অ্যাক্সিওস জানায়, নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে বলেন, “এতে উদ্‌যাপনের কিছু নেই, এর কোনো মানেও নেই।” এ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প। তিনি ইংরেজি ‘এফ-শব্দ’ ব্যবহার করে নেতানিয়াহুকে বলেন, 'আমি জানি না, তুমি কেন সব সময় এত ফা*** নেতিবাচক। এটা একটি জয়, এটা মেনে নাও।'

অপর দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কথোপকথনের সময় ট্রাম্পের সুর ছিল অত্যন্ত কঠোর। তিনি চান, হামাস যদি চুক্তি করতে আগ্রহী হয়, তবে নেতানিয়াহুও যেন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন। কিন্তু নেতানিয়াহু হামাসের প্রতিক্রিয়াকে চুক্তি নয়, বরং প্রত্যাখ্যান হিসেবেই দেখেন।

অন্যদিকে, ট্রাম্প বিষয়টিকে এক ইতিবাচক সুযোগ হিসেবে দেখেছিলেন। এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “ট্রাম্প মনে করেছিলেন, এটি শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি করছে। নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়ায় তিনি হতাশ হয়েছিলেন, আর সেখান থেকেই উত্তেজনা বাড়ে।”

তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়। ট্রাম্প নিজেই অ্যাক্সিওসকে বলেন, 'আমি তাঁকে বলেছিলাম, এটি তাঁর জয়ের সুযোগ। শেষ পর্যন্ত নেতানিয়াহু রাজি হয়েছেন। তাঁর অবশ্যই ঠিক থাকতে হবে—আমার সঙ্গে আপনাকে ঠিক থাকতে হবে।'

ফোনালাপের কিছুক্ষণ পরই ট্রাম্প এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে গাজায় বিমান হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। তিন ঘণ্টা পর নেতানিয়াহুও সেটি কার্যকর করেন।

শনিবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে দুই দেশের অবস্থান এখন এক। এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, 'আমরা একসঙ্গে শান্তির পথে এগোচ্ছি।'

এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, “ফোনালাপটি ছিল কঠোর, কিন্তু ফলপ্রসূ। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠা, এবং সেটির দিকেই দুই নেতা এগোচ্ছেন।”

হোয়াইট হাউস ফোনালাপের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

সর্বশেষ