শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের থামাতে পারবে কি বাংলাদেশ?
বহু বছর ধরে শ্রীলঙ্কার বোলাররা হোয়াইট-বল ফরম্যাটে পুরোপুরি অবমূল্যায়নের মুখে পড়তে বাধা দিয়ে আসছে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ ঠীকশন, দুষমন্ত চামীরা এবং মাঝে মাঝে দিলশান মাদুশাঙ্কার মতো বোলাররা গত কয়েক বছরে ভালো বোলিং করেছেন, কিন্তু ব্যাটিং বিভাগে তারকা খেলোয়াড়ের অভাব ছিল এবং তাতে যথেষ্ট শক্তি ছিল না।
তবে এখন মনে হচ্ছে শ্রীলঙ্কা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ঠিক করতে চলেছে। ক্যাম্পের খেলোয়াড়দের কথাবার্তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিশেষ করে অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা এই বার্তাটি দিয়েছেন যে বোলাররা অনেকদিন ধরে দলকে তুলে ধরছে, আর এখন সময় এসেছে ব্যাটসম্যানদের নিজেদের পারফরম্যান্সে ম্যাচ জয়ের।
গুরুরবারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বোলাররা ভালো খেলেছে, বাংলাদেশকে এমন একটি স্কোরে আটকে রেখেছে যা হয়তো ১৫ রান কম ছিল। তবে ব্যাটসম্যানরা অসাধারণ খেলেছেন, পাতুম নিস্সাঙ্কা এবং কুসাল মেন্ডিস দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি গড়েছেন। পুরো ট্যুর জুড়ে শ্রীলঙ্কার জয়ে অন্তত একজন উপরের পাঁচে ব্যাটসম্যান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
এখন বাংলাদেশের জন্য এই সুপারফর্ম খেলোয়াড়দের থামানোর পথ খুঁজে বের করাই চ্যালেঞ্জ। নিস্সাঙ্কা ও কুসাল মেন্ডিস হয়তো তাদের জীবনের সেরা ফর্মে আছেন, আর আসালঙ্কা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন। তাদের কোন বোলার উপরের ক্রমলিপি ভাঙতে পারবে? শ্রীলঙ্কার আগে লেগস্পিনারদের বিরুদ্ধে পরীক্ষা রয়েছে, তাই হয়তো যদি রিশাদ হোসেন ম্যাচের প্রথমদিকে খেলানো হত, তাহলে ফলাফলের ওপর তার প্রভাব আরও বেশি থাকতে পারত। মুস্তাফিজুর রহমান কি প্রথম ম্যাচে ব্যয়বহুল টাসকিন আহমেদের থেকে বেশি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারবেন?
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মধ্যবর্তী ওভারে একটু বেশি তৎপরতা দেখাতে পারত। অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যাটে ছন্দ ফিরে আসাও বড় পার্থক্য গড়তে পারে।



























