বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা, রয়ে গেছে কিছু অমীমাংসিত ইস্যু

তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় আলোচনার দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। আলোচনায় উভয় দেশের বিদ্যমান ও সম্ভাব্য বাণিজ্য কাঠামো, শুল্কনীতি এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কিছু বিষয়ে প্রাথমিক ঐকমত্য হলেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো সমাধান হয়নি।
দ্বিতীয় দিনের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাম্বাসাডর জেমিসন গ্রিয়ারের একান্ত বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনে মন্ত্রী পর্যায়ের দায়িত্বে থাকা গ্রিয়ার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনায় অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ বশির উদ্দিন দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানিও বাড়াতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান এবং বলেন, এ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শুল্ক কাঠামোতে ন্যায্য আচরণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, যাতে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকে।
অ্যাম্বাসাডর জেমিসন গ্রিয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। ঢাকায় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী এবং সরকারের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
ওয়াশিংটন সময় আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় শুরু হবে আলোচনার তৃতীয় ও শেষ দিনের বৈঠক। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আজকের বৈঠকে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হতে পারে।