রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৬, ৭ নভেম্বর ২০২৫

লেবাননে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলা, নিহত ১

লেবাননে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলা, নিহত ১
ছবি: সংগৃহীত

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় একজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। লেবানন সরকার জানিয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। খবর আল-জাজিরা।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত চারটি শহরে হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। দেশটির তায়ার জেলায় বেসামরিক এলাকাও এ হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনা। তবে , হামলাগুলো মূলত বেসামরিক এলাকায় চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে লেবানন।

হামলার পর এক বিবৃতিতে লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেন, 'যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীকে দক্ষিণ লেবানন থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো তারা পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে অবস্থান করছে। আজকের হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল কোনো রাজনৈতিক সমাধানে আগ্রহ দেখায়নি এবং নিয়মিত হামলার মাধ্যমে তা প্রমাণ করছে।'

এদিকে, হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকলে আত্মরক্ষার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সংগঠনটি।

হিজবুল্লাহর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'যে শত্রু আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে, আত্মরক্ষার জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের বৈধ অধিকার।'

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে হিজবুল্লাহ ইসরাইলে সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলা চালাতে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সংঘাতটি পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধে রূপ নেয়। এতে এখন পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি লেবানিজ নিহত ও প্রায় ১৭ হাজার আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২০২৪ সালের নভেম্বরে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই দক্ষিণ লেবাননে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পর এসব হামলায় হিজবুল্লাহর অন্তত ৩৫০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল।

সদ্য সংবাদ/এমটি

সর্বশেষ