ইসরায়েল সমালোচনায় জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা

গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কড়া সমালোচক এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়নের তথ্য প্রকাশের কারণে আলবানিজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার এক ঘোষণায় জানান, আলবানিজ ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের অংশ’ হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
রুবিও বলেন, আলবানিজ ইসরায়েলি ও মার্কিন নাগরিকদের বিচারের উদ্যোগে সরাসরি জড়িত এবং তাই তিনি জাতিসংঘের বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য। তাঁর বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্বেষ ছড়ানো, সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতি এবং পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি প্রকাশ্য অবজ্ঞার অভিযোগও তোলা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আলবানিজ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং তাঁর কোনো সম্পদ সেখানে থাকলে তা জব্দ করা হতে পারে।
ইতালিতে জন্ম নেওয়া ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বহুদিন ধরে গাজায় ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন। তিনি যুক্তি দিয়ে দাবি করে আসছেন, পশ্চিমা সরকারগুলো ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আলবানিজ সরাসরি নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে কিছু না বললেও লেখেন, ‘আজ থেকে আগের চেয়েও বেশি দৃঢ়ভাবে ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবো, যেমনটা আমি সবসময় করে এসেছি।’
তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রতি সমর্থন জানিয়ে একটি পোস্ট পুনরায় শেয়ার করেন এবং বলেন, ‘আমি আইসিসির প্রতিষ্ঠাতা দেশ থেকে এসেছি, যেখানে আইনজীবী ও বিচারকরা প্রায়ই তাঁদের জীবন দিয়ে ন্যায়বিচার রক্ষা করেন। আমি সেই ঐতিহ্যকে সম্মান করি।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত আইসিসির প্রতি তাদের বিরূপ অবস্থানেরই ধারাবাহিকতা। এর আগে দেশটি আইসিসির চারজন বিচারকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
প্রসঙ্গত, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত বছর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।