বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ৭ আগস্ট ২০২৫

রংধনু গ্রুপের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ ক্রোক

রংধনু গ্রুপের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ ক্রোক
ছবি: ইন্টারনেট

মানিলন্ডারিং, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলাম এবং তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গুলশান থানায় করা মামলায় প্রায় ৯৭০ কোটি টাকার প্রতারণা ও অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সিআইডি’র অনুসন্ধানে উঠে আসে, রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমি কিনে বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে বিক্রি করে। ২০২২ সালের ৮ মার্চ রফিকুলের ছেলে কাউসার আহমেদ অপু এবং মেহেদী হাসান দিপু বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে ৭.৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করেন। পরে ওই জমির ৬.৩৩৭৫ একর আবার ২০২২ সালের ১ জুন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টিজ লিমিটেডের কাছে ৫৭.৩৬ কোটি টাকায় বিক্রি করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন।

এছাড়া, সমবায় সমিতিতে বালিভরাটের ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০ কোটি এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকার ঋণ আত্মসাৎ করেন। ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা থেকেও ভূয়া মূল্যায়ন কপির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেন।

সিআইডির অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব অর্থের একটি অংশ বিদেশে পাচার করে রফিকুল ইসলাম ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব নেন ২০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে।

এই ঘটনায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫) অনুযায়ী গুলশান থানায় মামলা (নম্বর-১৪, তারিখ-০৭/০৮/২০২৫) রুজু করা হয়।

মামলার অংশ হিসেবে সিআইডি ইতোমধ্যে ১৩টি ব্যাংক হিসাবের প্রায় ১৭ কোটি টাকা এবং যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-০২ এ থাকা ১ লাখ বর্গফুট বাণিজ্যিক স্পেস আদালতের আদেশে ক্রোক করেছে।