বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১২:০৫, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যোগ দিতে তাগিদ খামেনির উপদেষ্টার

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যোগ দিতে তাগিদ খামেনির উপদেষ্টার
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল–যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর সামরিক শক্তি বাড়াতে ইরানের উচিত সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইরান ইন্টারন্যাশনাল এ তথ্য জানায়। 

উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, রিয়াদ ও ইসলামাবাদের মধ্যে চুক্তিটি ইতিবাচক। প্রস্তাবিত ইরান, ইরাকসহ অন্যরাও এতে অংশ নিতে পারে।

তিনি বলেন, 'ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং ইরাক একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে। অনেকটা সামরিক জোটের মতো। কিন্তু রিয়াদ ও ইসলামাবাদের ওপর মার্কিন প্রভাব এ ধরনের পদক্ষেপকে সীমিত করে পারে।'

সেপ্টেম্বরের শুরুতে সৌদি আরব এবং পারমাণবিক অস্ত্রধারী পাকিস্তান রিয়াদে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে। কাতারে ইসরায়েলের হামলার এক সপ্তাহ পর তাদের দশকের পুরোনো নিরাপত্তা অংশীদারত্বকে শক্তিশালী করার উদ্যোগে ভীত হয়ে পড়ে ভারতও। রিয়াদ জোর দিয়ে বলেছে, চুক্তিটি নির্দিষ্ট ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়; বরং বছরের পর বছর ধরে আলোচনার চূড়ান্ত পরিণতি।

একজন জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা বলেছেন, সব সামরিক উপায়কে অন্তর্ভুক্ত করে এমন একটি বিস্তৃত প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে। উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন উভয় দেশের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে বেশ প্রফুল্ল দেখাচ্ছিল।

অন্যত্র সাফাভি তার বক্তব্যে বলেছেন, জুনের সংঘাতের সময় ইরান ৫০০টিরও বেশি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল। কিন্তু বিমান প্রতিরক্ষা এবং গোয়েন্দা ক্ষেত্রে দুর্বলতা তাদের কাঙিক্ষত সফলতায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিদেশি মূল্যায়নে দেখা গেছে, ৬০% বিশ্বাস করে যে ইরান জিতেছে। কারণ ইসরায়েল তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

অবশ্য এ পরিসংখ্যানে তিনি কোনো সূত্র উল্লেখ করেননি। সাফাভি আরও বলেন, শত্রুরা হাইফার শোধনাগার এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রে আমাদের আক্রমণ সহ্য করতে পারেনি। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র উন্নত ইসরায়েলি স্থাপনা এবং পাইলটদের ধ্বংস করেছে। ইরান ক্ষতিগ্রস্ত রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণ করছে। আমাদের আক্রমণাত্মক ক্ষমতা অবশ্যই বৃদ্ধি করব।

সাফাভি সতর্ক করে বলেছেন, সংঘাত সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়নি। কূটনীতি, মিডিয়া এবং সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের অবশ্যই শক্তি-নির্মাণের পথ অব্যাহত রাখতে হবে। আক্রমণাত্মক শক্তি কেবল আকাশ বা মহাকাশেই নয়, সকল ক্ষেত্রেই থাকতে হবে।

সর্বশেষ