বিয়েতে না, তরুণীকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা

ভারতের বিহারের রোহতাস জেলায় প্রেমঘটিত এক মর্মান্তিক ঘটনায় বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় কাজল কুমারী নামের এক তরুণীকে গুলি করে হত্যা করেন জ্যাকি নাথ নামের এক যুবক। এরপর তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন। ঘটনাস্থল একটি বেসরকারি হোটেলের কক্ষ থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত কাজলের মা গায়েত্রী দেবী জানান, দীর্ঘদিন ধরে জ্যাকি নাথ তার মেয়েকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু সামাজিক কুসংস্কার ও ভিন্ন জাতের হওয়ায় কাজল বারবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
গায়েত্রী দেবী আরও বলেন, তার মেয়ে একটি শপিং মলে চাকরি করতেন। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে তিনি মেয়েকে বাজারে নামিয়ে দেন। পরে খবর পান, বলিয়া জেলার বাসিন্দা জ্যাকি একটি হোটেলকক্ষে মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কাজলকে গুলি করার পর জ্যাকি নিজের উপরও গুলি চালান। গুরুতর আহত অবস্থায় কাজলকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে বারানসির একটি হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
কাজলের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘জ্যাকি হুমকি দিতো, ও আমার না হলে অন্য কারওও হবে না। ভিন্ন জাতের হওয়ায় আমার মেয়ে তাকে বিয়ে করতে পারেনি।’
অন্যদিকে, অভিযুক্তের বাবা পারস নাথ দাবি করেন, হোটেল কর্তৃপক্ষ তার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।
ঘটনার পর রোহতাস জেলার আরাভ ব্যাংকোয়েট হল গেস্ট হাউসের কক্ষে জ্যাকির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় কর্মকর্তা দিলীপ কুমার জানান, কক্ষ থেকে একটি পিস্তল ও খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।