থাই-কম্বোডিয়া সংঘর্ষে নিহত ১৬, পালিয়েছে ১ লাখের অধিক মানুষ

সীমান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ডে ১৫ জন এবং কম্বোডিয়ায় একজন নিহত হয়েছেন। প্রাণ বাঁচাতে দুই দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। এ তথ্য জানিয়েছে ‘আল জাজিরা’।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান এ লড়াইয়ে একে অপরকে লক্ষ্য করে কামান ও রকেট হামলা চালিয়েছে দুই দেশের সেনাবাহিনী। থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার হামলার জবাবে তাদের বাহিনী পাল্টা গুলি চালিয়েছে।
এই সংঘর্ষকে গত এক দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সামরিক উত্তেজনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে দেশটিতে অন্তত ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি বেসামরিক ব্যক্তি এবং ১৫ জন সেনা।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার সীমান্ত প্রদেশের একজন স্থানীয় কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’কে জানিয়েছেন, থাই সেনাবাহিনীর হামলায় তাদের দেশে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশসহ সীমান্তবর্তী চারটি এলাকা থেকে প্রায় এক লাখ ৬৭২ জন মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার থাই সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেও অন্তত ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সংঘাতের মূল কারণ শতবছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ, বিশেষ করে ঐতিহাসিক প্রিয়া ভিহার মন্দির ঘিরে। ফরাসি উপনিবেশিক শাসনামলে সীমান্ত নির্ধারণকে ঘিরে এই বিরোধের সূত্রপাত। সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামরিক উত্তেজনা এ দ্বন্দ্বকে আরও উসকে দিয়েছে।
এদিকে, কূটনৈতিক চাপ বাড়তে থাকায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আজ (শুক্রবার) এ সংঘাত নিয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ‘এএফপি’। পরিস্থিতি আরও অবনতি এড়াতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।