শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ১৯ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৫:৫৯, ১৯ জুলাই ২০২৫

বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত এশিয়া, দাবানলে পুড়ছে ইউরোপ

বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত এশিয়া, দাবানলে পুড়ছে ইউরোপ
ছবি: ডন

টানা ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এশিয়ার নানা অঞ্চল। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ও পাঞ্জাবে এক সপ্তাহের ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৮০ জন। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিনদিন সেখানে আরও বৃষ্টি হতে পারে। ভারতের রাজস্থান রাজ্যও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সেখানকার বাসিন্দারা। খবর! ডন ও রয়টার্স। 

বিশেষ করে আজমির শহরে শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে দেখা দিয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। মিত্তাল হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এবং জওহারলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজ এলাকায় পানি জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

জলাবদ্ধতায় আজমির শহরের রাস্তায় যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে গেছে। অনেক সড়কে কোমরসমান পানি উঠে গেছে, পানিতে ডুবে গেছে গাড়ি ও ট্রাক। একইসঙ্গে গঙ্গা ও যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোয় উত্তর প্রদেশে জারি করা হয়েছে বন্যা সতর্কতা।

পাকিস্তানে বন্যার পানি কিছুটা কমলেও ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন এখনো স্পষ্ট। রাওয়ালপিন্ডি ও পাঞ্জাবের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো আবার বসবাসযোগ্য করে তোলার কাজ চলছে। এ কাজে সহায়তা করছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়াতেও চলছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। প্রবল বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় উত্তর গিয়ংসাং প্রদেশসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হাজারের বেশি মানুষ। রাজধানী সিউলে একদিনে রেকর্ড ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এর ফলে চার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য অবকাঠামো, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। দক্ষিণ কোরিয়ার চুংচিয়ং অঞ্চলে ভূমিধস দেখা দিয়েছে, বাড়িঘর ও যানবাহন পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যখন বৃষ্টিপাত ও বন্যায় বিপর্যস্ত, তখন ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ দাবানলের মুখে পড়েছে। স্পেনের আভিলা অঞ্চলের নাভারুয়েনগা বনাঞ্চলে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দমকল বাহিনী দিনরাত কাজ করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে।

শুষ্ক ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। মাদ্রিদে তিন হাজার হেক্টর এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কাতালোনিয়ার বনভূমিও দাবানলের কবলে পড়েছে।

ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলেও পরিস্থিতি ভয়াবহ। দাবানলে সেখানে ২৫০ হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক এলাকা থেকে দেড় শতাধিক বাড়ির বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হাজারো দমকল কর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।