মালয়েশিয়ায় নিষিদ্ধ পল্লী থেকে ১০ বাংলাদেশি নারী উদ্ধার

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে জালান পেটালিংয়ের একটি পতিতালয় থেকে ১০ জন বাংলাদেশি নারীসহ মোট ১৪ জন নারীকে উদ্ধার করেছে কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম)। ধারণা করা হচ্ছে, তারা জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির শিকার হয়েছেন।
জেআইএম কুয়ালালামপুরের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জুলাই বুধবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে অপারেশন প্যান্টাস (এটিআইপি) অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে মানবপাচার বিষয়ক নির্দেশিকা (এনজিএইচটিআই ২.০) ব্যবহার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া নারীদের বয়স ১৮ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে, যার মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, তিনজন ভারতীয় ও একজন ইন্দোনেশিয়ান। এক ভুক্তভোগী দাবি করেন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তার প্রেমিক তাকে ‘বিক্রি’ করে দিয়েছিল এবং এরপর সেখানে পতিতাবৃত্তির জন্য বাধ্য করা হয়।
মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ বলেন, অভিযানকালে বেশ কয়েকজন খদ্দের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পতিতালয় সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং পথচারীদের টার্গেট করে।
মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইনের ১২ ধারার অধীনে তদন্তে সহায়তার জন্য তিনজন স্থানীয় ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, যাদের ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিযানে ওই স্থানে থাকা ১৬ জন পুরুষ খদ্দেরকেও আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৯ জন নেপালি, দুইজন বাংলাদেশি এবং পাঁচজন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন।