রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

গাজা

গাজা

গাজায় সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি ইন্দোনেশিয়ার

গাজায় সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি ইন্দোনেশিয়ার

গাজায় মোতায়েনের জন্য ইন্দোনেশিয়া ২০ হাজার সেনা প্রস্তুত রেখেছে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাজামসোয়েদ্দিন। প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক অনুমোদন পাওয়ার পর এই বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড। সাজামসোয়েদ্দিন বলেন, `আমরা দুই উপায়ে সেনা মোতায়েন করতে পারবো। জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় অথবাত মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা অনুযায়ী কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে। তবে, দ্বিতীয় বিকল্পের জন্য উচ্চ-স্তরের কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে চুক্তির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ইসরাইলের অনুমোদনও অপরিহার্য হবে।`

গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও শান্তিতে নেই গাজাবাসী। এর মাঝে ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েল বাধা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, সীমিত প্রবেশপথ, প্রশাসনিক জটিলতা ও নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ)-এর তথ্য পেশ করে সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ত্রাণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ নানা বাধার মুখে পড়ছে। সীমিত প্রবেশপথ, কঠোর প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, নিষেধাজ্ঞা ও অনিরাপদ পরিস্থিতি এ কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।’

যুদ্ধবিরতি চললেও ত্রাণে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

যুদ্ধবিরতি চললেও ত্রাণে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও মানবিক ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। এতে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। ক্ষুধা-দুর্ভোগে কাতর ফিলিস্তিনিরা এখন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অবরুদ্ধ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, সীমিতভাবে সীমান্ত খোলা থাকায় ত্রাণ সরবরাহে বড় বাধা তৈরি হয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খাদ্যসহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে, তবে সহায়তার পরিমাণ এখনো খুব কম। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায়, যুদ্ধবিরতির পর থেকে তারা ৪৪টি কেন্দ্রে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে খাদ্য দিয়েছে। কিন্তু সরবরাহ এখনো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল, বিশেষ করে উত্তর গাজায় পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা, ত্রাণ প্রবেশে বাধা 

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা, ত্রাণ প্রবেশে বাধা 

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েলের অবরোধ। প্রতিশ্রুত ত্রাণের মাত্র এক-চতুর্থাংশ গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে দেশটি; বাকি ৭৫ শতাংশ ত্রাণ এখনো সীমান্তে আটকে আছে। রবিবার (২ নভেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে এবং মানবিক সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ২০৩টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১৪৫টি ট্রাক। এটি নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ ট্রাকের মাত্র ২৪ শতাংশ।