রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

মেক্সিকোতে জেন-জি বিক্ষোভে রণক্ষেত্র, আহত শতাধিক
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় ৮৫% উচ্চশিক্ষিত
রাজধানীর ইস্কাটনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১
কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে রাষ্ট্র সংস্কারই একমাত্র পথ: আখতার হোসেন
এতবার মৃত্যুদণ্ডের নজির বাংলাদেশে নেই: বাবর
জুলাই আন্দোলনে মুখমণ্ডল হারানো খোকন শেরপুর-২ আসনে এনসিপির প্রার্থী
লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি, ৪ বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার
শেখ হাসিনার রায়কে ঘিরে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশী ভোটার, নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটার, নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণ IT সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-www.ecs.gov.bd এবং নির্বাচন কমিশনের ইউটিউব চ্যানেলে- @BangladeshECS চোখ রাখুন।

সদ্য স্পোর্টস

প্রকাশিত: ১১:১৩, ১১ জুলাই ২০২৫

নাটকীয় সমীকরণে রংপুরের দুর্দান্ত জয় 

নাটকীয় সমীকরণে রংপুরের দুর্দান্ত জয় 

শেষ ১২ বলে দরকার ছিল মাত্র ২০ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের জন্যও সেটি ছিল নাগালের মধ্যেই। ১৯তম ওভারে খালেদ আহমেদের প্রথম বলেই চার মেরে চাপ কমিয়ে দেন ডেভিড ভিসা। এরপর ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ছক্কায় ম্যাচ অনেকটাই গায়ানার দিকে ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু সেই ওভারেই খালেদের শেষ দুই বলে দুই ব্যাটার ফেরায় ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায় নাটকীয়ভাবে।

শেষ ওভারে গায়ানার দরকার ছিল ৯ রান, হাতে মাত্র একটি উইকেট। প্রথম বলেই আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট করে ফেরালেন ভিসাকে। ৮ রানের জয় পেল রংপুর রাইডার্স। একই সঙ্গে গ্লোবাল সুপার লিগের শিরোপাধারী হিসেবে নিজেদের মিশন জয় দিয়েই শুরু করল নুরুল হাসান সোহানের দল।

প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া রংপুরের শুরুটা ছিল দারুণ। সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ভালো ভিত্তি। যদিও সাইফ আউট হন ১৮ রানে এবং ৩৬ বলে ৩৫ রান করা সৌম্যও ইনিংস বড় করতে পারেননি। এরপর ইমরান তাহিরের জোড়া আঘাতে এক ওভারে ফেরেন আজমতউল্লাহ ও ইয়াসির রাব্বি। দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর।

চাপ সামাল দেন অধিনায়ক সোহান, যদিও ১০ বলে ১৮ রানে ফিরে যেতে হয় তাকেও। এরপর কাইল মায়ার্স ও ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৭৬ রানের অপরাজিত জুটি। এই পার্টনারশিপে রংপুর পৌঁছে যায় ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে।

জবাবে গায়ানার শুরুটা হয় মিশ্র। গুরবাজ ৮ রানে ফিরলেও জনসন চার্লস ও মঈন আলীর ৪৮ রানের জুটি দলকে এগিয়ে নেয়। কিন্তু হারমিত সিং ও শামসি ফিরিয়ে দেন সেই দুই ব্যাটারকে। এরপর খালেদের দারুণ স্পেলে ম্যাচে ফিরে রংপুর। রাদারফোর্ড ও হেটমায়ারকে ফিরিয়ে দেন এই টাইগার পেসার। আর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এক ওভারেই দুটি উইকেট নিয়ে।

শেষ ওভারে আজমতউল্লাহর প্রথম বলেই ডেভিড ভিসার বিদায়ে জয় নিশ্চিত করে রংপুর রাইডার্স। অসাধারণ বোলিংয়ে রংপুরকে টানলেন খালেদ, শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় গায়ানাকে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করল তারা।