শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫

|২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য স্পোর্টস

প্রকাশিত: ১১:১৩, ১১ জুলাই ২০২৫

নাটকীয় সমীকরণে রংপুরের দুর্দান্ত জয় 

নাটকীয় সমীকরণে রংপুরের দুর্দান্ত জয় 

শেষ ১২ বলে দরকার ছিল মাত্র ২০ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের জন্যও সেটি ছিল নাগালের মধ্যেই। ১৯তম ওভারে খালেদ আহমেদের প্রথম বলেই চার মেরে চাপ কমিয়ে দেন ডেভিড ভিসা। এরপর ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ছক্কায় ম্যাচ অনেকটাই গায়ানার দিকে ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু সেই ওভারেই খালেদের শেষ দুই বলে দুই ব্যাটার ফেরায় ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায় নাটকীয়ভাবে।

শেষ ওভারে গায়ানার দরকার ছিল ৯ রান, হাতে মাত্র একটি উইকেট। প্রথম বলেই আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট করে ফেরালেন ভিসাকে। ৮ রানের জয় পেল রংপুর রাইডার্স। একই সঙ্গে গ্লোবাল সুপার লিগের শিরোপাধারী হিসেবে নিজেদের মিশন জয় দিয়েই শুরু করল নুরুল হাসান সোহানের দল।

প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া রংপুরের শুরুটা ছিল দারুণ। সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ভালো ভিত্তি। যদিও সাইফ আউট হন ১৮ রানে এবং ৩৬ বলে ৩৫ রান করা সৌম্যও ইনিংস বড় করতে পারেননি। এরপর ইমরান তাহিরের জোড়া আঘাতে এক ওভারে ফেরেন আজমতউল্লাহ ও ইয়াসির রাব্বি। দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর।

চাপ সামাল দেন অধিনায়ক সোহান, যদিও ১০ বলে ১৮ রানে ফিরে যেতে হয় তাকেও। এরপর কাইল মায়ার্স ও ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৭৬ রানের অপরাজিত জুটি। এই পার্টনারশিপে রংপুর পৌঁছে যায় ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে।

জবাবে গায়ানার শুরুটা হয় মিশ্র। গুরবাজ ৮ রানে ফিরলেও জনসন চার্লস ও মঈন আলীর ৪৮ রানের জুটি দলকে এগিয়ে নেয়। কিন্তু হারমিত সিং ও শামসি ফিরিয়ে দেন সেই দুই ব্যাটারকে। এরপর খালেদের দারুণ স্পেলে ম্যাচে ফিরে রংপুর। রাদারফোর্ড ও হেটমায়ারকে ফিরিয়ে দেন এই টাইগার পেসার। আর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এক ওভারেই দুটি উইকেট নিয়ে।

শেষ ওভারে আজমতউল্লাহর প্রথম বলেই ডেভিড ভিসার বিদায়ে জয় নিশ্চিত করে রংপুর রাইডার্স। অসাধারণ বোলিংয়ে রংপুরকে টানলেন খালেদ, শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় গায়ানাকে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করল তারা।