মিটফোর্ড হত্যার তদন্তে বিএনপির কমিটি

মিটফোর্ডে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অন্তর্নিহিত কারণ উদঘাটনে উপযুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি ‘তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, এ কমিটি ঘটনাটির প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান করবে এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিটফোর্ডের এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে কোনো মহলের প্ররোচনায় এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে তিনটি নির্মম হত্যাকাণ্ড, মসজিদের ইমাম হত্যা, খুলনায় যুবদল নেতা মাহবুব মোল্লার হত্যা ও রগ কেটে দেওয়া—এইসব ঘটনায় সবাই একইরকম প্রতিবাদ করেছেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠে আসে।

তার ভাষায়, দেশে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। প্রকাশ্যে, অসংখ্য মানুষের সামনে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকটবর্তী অবস্থানে এই ঘটনা ঘটেও কোনো প্রতিরোধ না হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।