ফজলুর রহমানের মনোনয়নে এলাকাজুড়ে উচ্ছ্বাস
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিটামইন, অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের নাম ঘোষণার পর এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। প্রার্থিতা ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাসের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে।
কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে এবার প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে দুটি আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। সেই দুই আসনের একটি হলো কিশোরগঞ্জ-৪, যেখানে বহু পরীক্ষার পর আবারও মনোনয়ন পেলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তিনি। তবে দুইবারই প্রচণ্ড রাজনৈতিক চাপ ও হামলার মুখে কার্যত নির্বাচনী মাঠে টিকে থাকতে পারেননি। সভা-সমাবেশ করতে না পারলেও তিনি দলীয় আদর্শে অটল ছিলেন। এক পর্যায়ে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় দলীয় পদও স্থগিত করা হয় তার।
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও তার হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেওয়ায় নেতাকর্মীরা একে ‘ন্যায়ের জয়’ হিসেবে দেখছেন। তবে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) ও কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপি প্রার্থী না দেওয়ায় স্থানীয় কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই দুই আসন জোটের শরিক দলের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি পরিচিত নাম। পেশায় আইনজীবী হলেও তার পরিচয় আরও বিস্তৃত। তিনি এক সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন । আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতপার্থক্যের পর ২০০৮ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং বর্তমানে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন।
ফজলুর রহমান মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, 'বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের মতো অভিজ্ঞ ও সৎ রাজনীতিকের হাতে আবারও দায়িত্ব দেওয়াটাই কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের রাজনীতির জন্য সবচেয়ে ইতিবাচক খবর।'
সদ্য সংবাদ/এমটি



























