রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ৩ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২০:৪৪, ৩ নভেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইল-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী লাভলু, জানালেন তারেক রহমানকে কৃতজ্ঞতা

টাঙ্গাইল-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী লাভলু, জানালেন তারেক রহমানকে কৃতজ্ঞতা

দীর্ঘ কয়েক যুগের নিরলস শ্রম, ত্যাগ, নিষ্ঠার প্রতিদান পেলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা রবিউল আওয়াল লাভলু। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে টাঙ্গাইলের অন্যতম প্রধান দিকপাল লাভলুকে এবার মূল্যায়ন করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রায় বিশজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে থেকে যোগ্যতম প্রার্থীর হাতেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানের শীষ তুলে দিয়েছেন তিনি। তার এমন যুগোপযোগী সিদ্ধান্তে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর দেলদুয়ার) আসনের তৃনমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। জনসাধারণের পক্ষ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতেও ভুল করেননি টাঙ্গাইলের ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত লাভলু। 

মনোনয়নপ্রাপ্তির পরে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রবিউল আওয়াল লাভলু বলেন, আল্লাহ তাআলার দরবারে লাখো-কোটি শুকরিয়া জানাচ্ছি। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  সর্বস্তরের জনগণ আমার সাথে আছে। তাদের এতো বিপুল সাড়া পাচ্ছি যে আমি ভীষণভাবে অভিভূত ও আনন্দিত।  জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। ইনশাআল্লাহ, বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এই আসনটি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ডায়নামিক লিডার তারেক রহমানকে উপহার দিবো। 

তবে সেইসাথে ‘ষড়যন্ত্রের’ বিষয়েও সজাগ থাকার কথা জানান তিনি। লাভলু বলেন, আপনারা জানেন, এখনো ব্যাপক ষড়যন্ত্র চলছে। দেশনায়ক তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরবেন এবং দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটি নিশ্চিত করতে আমাদের লড়াই চলবে। 
 
 যারা মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে যোগ্য। শহীদ জিয়ার গণমুখী রাষ্ট্রচিন্তায় উজ্জীবিত হয়ে ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতি নামের চ্যালেঞ্জিং এই সেক্টরে এসেছি। দীর্ঘ কয়েক যুগের রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় অসংখ্য আন্দোলন-সংগ্রামে সরাসরি অংশ নিয়েছি। জনসাধারণের কাছে বারবার শহীদ জিয়ার আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা তুলে ধরেছি। 

ফ্যাসিস্ট আমলের স্মৃতিচারণ করে লাভলু বলেন, এক দুর্বিষহ সময়কাল অতিক্রম করেছে গোটা বাংলাদেশ। যেন পুরো দেশটাই পরিণত হয়েছিলো এক বৃহৎ কারাগারে। সেই চরম দুঃসময়েও ভিশনারি লিডার, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় মাঠে ছিলাম। আমরা জনগণের চোখেমূখে মুক্তির যে দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা দেখেছিলাম, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের লড়াই শেষে জনগণ মুক্তির স্বাদ পেয়েছে, তবে চূড়ান্ত মুক্তি মিলবে বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় এনে জনগণকে সেই আরাধ্য সেবা দেয়ার মাধ্যমে।

দূরদর্শী ও ডায়নামিক লিডার তারেক রহমানের প্রণীত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বিএনপি বাংলাদেশকে পরম আরাধ্য গন্তব্যে নিয়ে যাবে। আর সেই পথচলায় আমি একজন খুদে কর্মী হয়ে জনগণের পাশে থাকতে  চাই। আমাকে মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। সেইসাথে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে এই আসন থেকে নিরঙ্কুশ বিজয় এনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। পাশাপাশি যারা মনোনয়ন পাননি, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ধানের শীষ আপনাদের সবার। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায়ই শহীদ জিয়ার আদর্শের ধারক ও বাহক বিএনপি বাংলাদেশে ৩১ দফার আলোকে আধুনিক ও সুচিন্তিত উন্নয়নের মাইলফলক স্থাপন করবে।

সর্বশেষ