সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ: জামায়াত আমির
সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য দেশের আইন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তবে কয়েকজন সেনা সদস্যের অপরাধের দায়ে গোটা প্রতিষ্ঠানকে দোষারোপ করা উচিত নয় বলেও মনে করেন তিনি।
রোববার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ দেশপ্রেমিক এই সেনাবাহিনীকে নিয়ে গর্বিত থাকতে চায়।'
ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের প্ররোচনায় সেনাবাহিনীর কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে সহযোগিতা করেছেন। তাদের কারণে দেশে গুম ও খুনের এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, যা জাতির জন্য গভীর দুর্ভাগ্যের বিষয়।
তিনি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তার ঘোষণা ও অভিযুক্তদের বাহিনীর হেফাজতে নেওয়ার উদ্যোগকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন।
জামায়াত আমির বলেন, 'আমরা আশা করি, কারও ওপর কোনো অবিচার করা হবে না। স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট অপরাধীরা যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি হবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'এই বিচার কার্যক্রমের মাধ্যমে যেমন অতীতের দায় মুছে যাবে, তেমনি ভবিষ্যতে কেউ নিজের পেশা বা অবস্থানকে ব্যবহার করে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবেন।'
তার মতে, এটি দীর্ঘমেয়াদে জাতির জন্য হবে কল্যাণকর একটি পদক্ষেপ।



























