রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ৮ অক্টোবর ২০২৫

এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নুরের

এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নুরের
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতার নামে নতুন দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার সে বিষয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যাদের আর্থিক সক্ষমতা নিয়েও সন্দেহ আছে, তাদের নামে কীভাবে টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দেওয়া হলো।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুর এই প্রশ্ন রাখেন।

নুরুল হক নুর বলেন, 'শুনেছি এনসিপির নেতাদের নামে দুটি গণমাধ্যমের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যে দুইজনের নামে হয়েছে, তাদের আমি ভালোভাবে চিনি। তারা নিজের ফ্যামিলি নিয়ে চলতেই হিমশিম খাচ্ছে। আমি অবাক হয়েছি, কীভাবে তারা টিভি চ্যানেলের মালিক হলেন।'

তিনি বলেন, 'আমি একটি দলের প্রধান, কিন্তু ৫ আগস্টের পরে যেখানে ছিলাম, এখনো সেখানেই আছি। তাদের অনেকেই আমার সহকর্মী ছিলেন, কেউ ছোট পত্রিকায় চাকরি করেন, কারও তেমন বেতনও নেই। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায়ও তারা নেই। তাহলে এই অনুমোদন এলো কোথা থেকে? এর মাধ্যমে সরকারের পক্ষপাতমূলক মনোভাব এবং অস্বচ্ছতা স্পষ্ট হয়েছে।'

৫ আগস্টের পর অনেক গণমাধ্যম দখল হয়েছে উল্লেখ করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, 'ওয়ান ইলেভেন সরকারের শুরুতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কঠোরতা দেখা গিয়েছিল, এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময় তা দেখা যাচ্ছে না। বরং আগের মতোই ভাগ-বাটোয়ারা, নিয়ন্ত্রণ, লোক বসানো আর প্রতিষ্ঠান দখলের সংস্কৃতি চলছে। ৫ আগস্টের পর অনেক গণমাধ্যম দখল হয়েছে। এটা নতুন সরকারের কাছ থেকে কেউ আশা করেনি। যারা এখন ক্ষমতায় আছেন, তাদের এর দায় নিতে হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকার দুটি নতুন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দেয়। চ্যানেল দুটির নাম ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’।

নেক্সট টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন। তিনি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য হিসেবে যোগ দেন এবং পরে এনসিপিতে যুক্ত হন। এর আগে তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।

অন্যদিকে, লাইভ টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন আরিফুর রহমান নামের আরেকজন সাংবাদিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি ইংরেজি দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ছিলেন, তবে এনসিপিতে যোগ দেননি।

সর্বশেষ