শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫

|১২ ভাদ্র ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২৮ আগস্ট ২০২৫

সংস্কার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না করে রোডম্যাপ ঘোষণা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল: এনসিপি

সংস্কার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না করে রোডম্যাপ ঘোষণা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল: এনসিপি
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ ঘোষণাকে একদিকে ইতিবাচক বলে স্বীকৃতি দিলেও, জুলাই সনদ চূড়ান্ত না করে তা ঘোষণা করাকে সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল বলে মনে করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অবস্থান তুলে ধরে এনসিপি। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। এ সময় দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ সোহেলসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। জনগণের প্রত্যাশা ছিল—এ সরকার বিচার ও সংস্কারের কাজ করবে। সেই লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনে এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিয়েছে।”

তিনি জানান, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ছয়টি উপায় নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনায় মতামত পাওয়া গেছে। এনসিপি সেখানে গণপরিষদ নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে, অন্যরা গণভোট ও সংবিধান সংস্কার সভার মতো প্রক্রিয়ার কথা বলেছে। কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন হবে, তা নির্ধারণ না করেই নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে—তবে তা সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় পর্যাপ্ত অগ্রগতির শর্তসাপেক্ষে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখন পর্যন্ত সেই সংস্কার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়নি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিও নির্ধারিত হয়নি।”

আদীব বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম রোডম্যাপ ঘোষণার আগে সরকার সংস্কার অগ্রগতির রূপরেখা প্রকাশ করবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী বৈঠক পিছিয়ে গেছে, এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে।”

তবে এনসিপি নির্বাচন বিরোধী নয় জানিয়ে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জরুরি। তাই রোডম্যাপ ঘোষণাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। তবে নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে সংকট তৈরি হবে এবং তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।”

সম্পর্কিত বিষয়: