নির্বাচনী সংস্কারে গড়িমসি হলে সংশয় তৈরি হবে: ডা. তাহের
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. তাহের বলেছেন, নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে গড়িমসি করা হলে জনগণের মধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে সংশয় তৈরি হবে। তিনি বলেন, ‘যেনতেন নির্বাচন জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে না। সংস্কারের ভিত্তিতেই পরবর্তী নির্বাচন হতে হবে।’
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা নগরীর ঢুলিপাড়া এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। স্বৈরাচার ছাড়া সব বৈধ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর নির্বাচন দেখতে চাই। এর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন ‘হ্যাঁ-না’ ভোট করেছিলেন, তখন কোনো পার্লামেন্ট ছিল না। আমরা শহীদ জিয়ার দলকে অনুরোধ করব, তারা যেন তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে এবং নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়ে যেগুলোতে আমরা একমত হয়েছি, সেগুলোর ভিত্তিতে নির্বাচনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাসীদের পিআর পদ্ধতি মেনে নেওয়ার নৈতিক বাধ্যবাধকতা আছে। সুজনের জরিপ বলছে, ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতি চায়। এতে স্বৈরাচার তৈরি হবে না এবং সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার যে ধারা ৫৪ বছর ধরে চলছে, তা বদলাবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে হবে, ইনশাআল্লাহ। তবে কিছু বাধা আছে। সরকার আন্তরিক হলে সেগুলো দূর করা সম্ভব। তখন নির্বাচনে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। নির্বাচন হতেই হবে, নাহলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর ও কুমিল্লা সদর-৬ আসনের প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ফেনীর সাবেক আমীর অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, মহানগরীর নায়েবে আমীর এ.কে.এম এমদাদুল হক মামুন, সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি কামরুজ্জামান সোহেল, মোশাররফ হোসেন ও নাছির আহমেদ মোল্লা।



























