বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ২৬ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৮:০০, ২৬ জুলাই ২০২৫

ভারত ‘দক্ষিণ এশিয়ার ইসরায়েল’: সাদিক কায়েম

ভারত ‘দক্ষিণ এশিয়ার ইসরায়েল’: সাদিক কায়েম
ছবি: সংগৃহীত

ভারত গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশকে একপ্রকার উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক সাদিক কায়েম। তুরস্কের প্রভাবশালী দৈনিক ইয়েনি সাফাককে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভারত শুধু শেখ হাসিনার শাসনকে সমর্থন করেনি, বরং ৫ আগস্টের গণহত্যাকেও নীরবে মেনে নিয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরে মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় তারা এখন ‘ইসরায়েলের মতো’ আচরণ করছে। এ ধরনের আধিপত্য আর মেনে নেওয়া হবে না।

শুক্রবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে ইয়েনি সাফাক। এতে সাদিক কায়েমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং ভারত-চীনের মতো বৈশ্বিক শক্তির প্রভাব তিনি কীভাবে দেখছেন এবং ভবিষ্যতের কূটনীতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করছেন।

উত্তরে তিনি বলেন, আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে সেনাবাহিনীর কিছু জুনিয়র কর্মকর্তা বিপ্লবের আদর্শের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। যদিও বেশিরভাগ সিনিয়র কর্মকর্তা পূর্ববর্তী শাসনব্যবস্থা থেকে সুবিধা পেয়েছেন, তবুও নতুন প্রজন্ম জনগণ ও রাষ্ট্রের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরিতে আগ্রহী।

তিনি আরও বলেন, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা বা গণহত্যায় জড়িত ছিলেন, তাদের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই, যতদিন না তারা আইনের মুখোমুখি হন।

রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সাদিক কায়েম বলেন, এই দলটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। জার্মানির চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর মতো তাদেরও স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।

চীন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা এই দেশের সঙ্গে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে ভারসাম্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চাই। বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিপ্লব কারও দয়া বা হস্তক্ষেপে আসেনি, এসেছে শহীদদের আত্মত্যাগে। তাই আমরা কারো কাছে ঋণী নই। ভবিষ্যতের কূটনীতি হবে স্বাধীন ও ভারসাম্যপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্র, চীন কিংবা ভারতের সঙ্গেই হোক না কেন।