শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫

|২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ১২ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৭:৪২, ১২ জুলাই ২০২৫

ভোটগ্রহণ হবে প্রায় ৪৭ হাজার কেন্দ্রে: উপ-প্রেসসচিব

ভোটগ্রহণ হবে প্রায় ৪৭ হাজার কেন্দ্রে: উপ-প্রেসসচিব
ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, “আগের তিনটি নির্বাচন প্রকৃত অর্থে নির্বাচন ছিল না, সেখানে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। তবে সেগুলো নিয়ে বর্তমান সরকার চিন্তিত নয়। আগামীর নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।”

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজশাহীতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিও তোলা হয়।

আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, ‘প্রায় ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন সম্ভব না হলেও আনসার থাকবে। সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে বদ্ধপরিকর।’

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকারের কারও প্রতি ব্যক্তিগত রাগ বা অনুরাগ নেই। সাংবাদিকরা যেন কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বারা হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা হবে। প্রশাসন এবার নিরপেক্ষ থাকবে। অনিয়ম দেখলে সাংবাদিকরা দ্বিধাহীনভাবে রিপোর্ট করবেন এটাই প্রত্যাশা।’

সভায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ৬১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গণমাধ্যমের ওপর নানা সময় হামলা হয়েছে, গণতন্ত্র ও সাংবাদিকতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে আমরা ৪৪ ধাপ পিছিয়ে পড়েছি। সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি, বহু সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। দেশের গণমাধ্যমে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মফস্বলের সাংবাদিকরা অলরাউন্ডার, কিন্তু তারা সে অনুযায়ী মূল্যায়ন পান না। গণমাধ্যমের টেকসই উন্নয়ন ও স্বাধীনতা নিশ্চিতে বাস্তব পদক্ষেপ দরকার।’

উত্তরে উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘গত এক বছরে বাংলাদেশ গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ অগ্রগতি করেছে। অতীতে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে হয়রানি করা হয়েছে সেটি বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আনা হলেও সেটিও বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলাগুলোও প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘পূর্বে বন্ধ হয়ে যাওয়া কয়েকটি গণমাধ্যম আবার প্রকাশনা শুরু করেছে। সরকার সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে চায়।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সেক্রেটারি শুচিস্মিতা, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, রাজশাহীর উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।