রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ৯ নভেম্বর ২০২৫

‘বিবিসি ‍শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম ও প্রোপাগান্ডা মেশিন’

‘বিবিসি ‍শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম ও প্রোপাগান্ডা মেশিন’
ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি-কে ‘শতভাগ ভুয়া সংবাদ’ ও ‘প্রোপাগান্ডা মেশিন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বিবিসির একটি বিতর্কিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লেভিট বলেন, “যুক্তরাজ্যে সফরের সময় হোটেলে যদি বিবিসি চালু থাকে, আমার দিনটাই নষ্ট হয়ে যায়। করদাতাদের টাকায় এমন এক বামপন্থি প্রচারযন্ত্র চালানো হচ্ছে—যা লজ্জাজনক।”

বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হামলা নিয়ে বিবিসির একটি ডকুমেন্টারি থেকে। সেখানে ট্রাম্পের বক্তব্যের দুটি অংশ কেটে জোড়া দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। লিক হওয়া একটি নথিতে দেখা যায়, ট্রাম্পের ‘ফাইট লাইক হেল’ (Fight like hell) বলার অংশ রাখা হলেও, সেই অংশটি বাদ দেওয়া হয় যেখানে তিনি শান্তিপূর্ণ ও দেশপ্রেমিকভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে বিবিসি ব্রিটিশ সংসদের সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া কমিটিতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা ও ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। লেভিট বলেন, “বিবিসির এই ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর ও নির্বাচিত সম্পাদনা প্রমাণ করে তারা সম্পূর্ণ ভুয়া সংবাদমাধ্যম।”

বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয় যখন বিবিসির সাবেক উপদেষ্টা মাইকেল প্রেসকট-এর লেখা একটি ১৯ পৃষ্ঠার মেমো ফাঁস হয়। এতে বলা হয়, প্যানোরামা ক্লিপের সম্পাদনা ছিল “সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর” এবং ট্রাম্প কখনোই তার সমর্থকদের সহিংসতায় উসকানি দেননি। প্রেসকট আরও অভিযোগ করেন, বিবিসির আরবি বিভাগে গাজা যুদ্ধ কভারেজে পক্ষপাত রয়েছে, যেখানে হামাসপন্থী বা এন্টিসেমিটিক মন্তব্যকারীদের ঘন ঘন ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া, মেমোতে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে বিবিসির অবস্থানকেও পক্ষপাতমূলক বলা হয়েছে। প্রেসকটের দাবি, কিছু কর্মী স্টোনওয়াল সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করছেন এবং জটিল ও বিতর্কিত বিষয়গুলো সংবাদে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না।

উত্তরে বিবিসি এক বিবৃতিতে জানায়, “আমরা ফাঁস হওয়া নথি নিয়ে মন্তব্য করি না। তবে আমাদের কভারেজ বিষয়ে যেকোনো প্রতিক্রিয়া আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। মাইকেল প্রেসকট আমাদের প্রাক্তন উপদেষ্টা ছিলেন, এবং তাঁর সময়েই সংবাদ কভারেজ নিয়ে নানা মতামত ও বিতর্ক হতো।”

সর্বশেষ