রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ২ নভেম্বর ২০২৫

তুরস্ক ও ইরানকেও খণ্ড বিখণ্ড করতে চায় ইসরায়েল

তুরস্ক ও ইরানকেও খণ্ড বিখণ্ড করতে চায় ইসরায়েল
ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের রাজনৈতিক বিশ্লেষক লেভেন্ত গুলতেকিন বলেছেন, দখলদার ইসরায়েল এই অঞ্চলে কোনো শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র দেখতে চায় না। ইরাক ও সিরিয়ার মতো ইরান ও তুরস্ককেও বিভক্ত করার পরিকল্পনা করছে তারা।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, গুলতেকিন তার ইউটিউব পেজে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এখন ইরান, যার সঙ্গে তুরস্কও গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট।

গুলতেকিন বলেন, ‘ইসরায়েল ও তার মিত্ররা তাদের নতুন পরিকল্পনায় প্রথমে ইরাককে, এরপর সিরিয়াকে বিভক্ত করেছে। বহু বছর ধরে তারা ইরান ও তুরস্ককেও দুর্বল করার পরিকল্পনা করে আসছে।’

তার মতে, ইরান ও তুরস্ক এখন এই বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। গাজা শান্তিচুক্তিতে বিভিন্ন পক্ষের সম্মতি এলেও ইসরাইল এখনো তার মূল পরিকল্পনা অঞ্চলের শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে খণ্ডিত করার নীতি থেকে সরে আসেনি।

তুর্কি এই বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘ইসরাইল মনে করে গাজা ইস্যু যেভাবেই হোক শেষ হবে, কিন্তু এরপর তাদের লক্ষ্য হবে ইরান ও তুরস্ক। ইরাকে যা ঘটেছে, সিরিয়ায় যা ঘটেছে, সেই ধারা এখানেও দেখা দিতে পারে।’

গুলতেকিন দাবি করেন, ইরানকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বৈরিতা আবার বেড়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এরদোগানের প্রতি সাম্প্রতিক প্রশংসা এবং তুরস্কের সামরিক শক্তি বাড়ানোর বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

তার ভাষায়, ‘প্রতিটি বক্তৃতায় ট্রাম্প স্বীকার করেন, তুরস্কের সেনাবাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তারা সিরিয়া ইস্যুতে অবিশ্বাস্য বিজয় অর্জন করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে ইসরাইল তাদের তথাকথিত ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্য’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগোচ্ছে।’

গুলতেকিন বলেন, ইসরাইলের প্রকৃত লক্ষ্য ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন নয়, বরং দেশটিকে তিন বা চার ভাগে বিভক্ত করা।

তবে তিনি অতীতে ইরানি জাতির দেশপ্রেমের প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘ইরানিরা এই অঞ্চলে দেশপ্রেমের এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে; অন্য জাতির উচিত তাদের কাছ থেকে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা শেখা।’