রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ৩ জরিপে এগিয়ে মামদানি

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ৩ জরিপে এগিয়ে মামদানি
ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির আসন্ন মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তিনটি সাম্প্রতিক জরিপে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর তুলনায় তিনি উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপে দেখা যায়, মামদানি কুমোর চেয়ে ১০ শতাংশ এগিয়ে। সেখানে মামদানির সমর্থন ৪৩ শতাংশ, কুমোর ৩৩ শতাংশ এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়ার সমর্থন ১৪ শতাংশ।

জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক মেরি স্নো জানিয়েছেন, 'মামদানি এগিয়ে থাকলেও এখনো কিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে, কারণ বহু ভোটার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।'

অন্যদিকে, এমারসন কলেজ, পিক্স ১১ ও দ্য হিলের যৌথ জরিপে মামদানির ব্যবধান আরও বড় হয়েছে। সেখানে তার সমর্থন ৫০ শতাংশ, কুমোর ২৫ শতাংশ এবং স্লিওয়ার ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। গত মাসের তুলনায় মামদানির জনপ্রিয়তা বেড়েছে ৭ শতাংশ, বিপরীতে কুমোর সমর্থন কমেছে ৩ শতাংশ।

মারিস্ট ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক ওপিনিয়ন প্রকাশিত আরেক জরিপে মামদানি কুমোর চেয়ে ১৬ শতাংশে এগিয়ে। মামদানি ৪৮ শতাংশ, কুমো ৩২ শতাংশ এবং স্লিওয়া ১৬ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে কুমোকে হারানোর পর কৃষ্ণাঙ্গ ও তরুণ ভোটারদের মধ্যে মামদানির জনপ্রিয়তা হু হু করে বেড়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে তার সমর্থন ৫০ থেকে বেড়ে ৭১ শতাংশে পৌঁছেছে। ৪৫ বছরের নিচের ভোটারদের ৬৪ শতাংশই এখন মামদানির পক্ষে। তবে ৪৫ বছরের ওপরে থাকা ভোটারদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সমানে সমান। সেখানে কুমো এবং মামদানির সমর্থন যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৮ শতাংশ।

উদারপন্থীদের কাছে মামদানি এগিয়ে থাকলেও মধ্যপন্থীদের কাছে এখনো কুমো সামান্য এগিয়ে। রক্ষণশীল ভোটারদের মধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী স্লিওয়ার অবস্থান তুলনামূলকভাবে শক্ত।

আগামী ৪ নভেম্বর নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঘিরে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে মামদানির ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান এবং বিশাল ইহুদি ভোটারগোষ্ঠীর সমর্থন বজায় রাখার কৌশল।

তবে মামদানি ইতোমধ্যে কিছু প্রভাবশালী প্রগতিশীল ইহুদি সংগঠনের সমর্থন পেয়েছেন। বেন্ড দ্য আর্ক, জিউইশ ভয়েস ফর পিস (জেভিপি) অ্যাকশন, এবং জিউস ফর রেসিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক জাস্টিস (জেএফআরইজে) তার প্রচারণায় সরাসরি কাজ করছে। এসব সংগঠন গাজা যুদ্ধ ইস্যুতে ইসরায়েলের ভূমিকার সমালোচক এবং মামদানির শান্তিপন্থী অবস্থানকে সমর্থন করছে।

জেনিথ রিসার্চের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, নিউইয়র্কে বসবাসরত ইহুদি ভোটারদের মধ্যেও মামদানি কুমোর চেয়ে অন্তত ১০ শতাংশ এগিয়ে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটারদের মন জয় ধরে রাখতে পারলে নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মেয়র হিসেবে নাম লেখাতে পারেন জোহরান মামদানি।

সদ্য সংবাদ/এমটি

সর্বশেষ