নোবেল পেলেন না ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রকে কি অবজ্ঞা করা হল?
গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতা সত্ত্বেও, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাদ দিয়ে ভেনেজুয়েলার একজন রাজনীতিবিদকে দেয়া হয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কার। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘উপেক্ষা’ বা ‘অবজ্ঞা করা হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
এর আগে ট্রাম্প নিজেই বলেছিলেন, তাকে এই পুরস্কার দেয়া না হলে তা হবে ‘যুক্তরাষ্ট্রের অপমান’।
নোবেল কমিটি এই বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া করিনা মাচাদোকে নির্বাচিত করেছে। জানা যায়, গেল কয়েক মাস ধরে গণমাধ্যমগুলোতে শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্পের কথা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলেও তার নাম চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পায়নি।
এই সিদ্ধান্তের আগের মাসগুলোতে ট্রাম্প নিজেকে ‘শান্তির প্রতিষ্ঠাতা’ হিসেবে জোরালোভাবে তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেকে একজন ‘সেতু নির্মাতা’ (মধ্যস্থতাকারী) হিসেবেও উপস্থাপন করেন। এছাড়াও ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, তিনি একাধিক যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন। যার জন্য তার নোবেল পাওয়া উচিৎ।
দুইবারের এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার প্রথম মেয়াদের পর থেকেই নোবেল পুরস্কারের প্রচারণায় ছিলেন। এর মধ্যে তিনি দাবিও করেছেন যে, ‘অনেক মানুষ’ ভাবে যে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি চুক্তিতে যুগান্তকারী মধ্যস্থতার পর ট্রাম্পের নাম সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, নোবেল পুরস্কার না পেলে এটি একটি ‘বড় অপমান’ হবে এবং ‘সাতটি যুদ্ধের সমাধান’ করেছেন দাবিতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির ওপরও এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করেন।
সদ্য সংবাদ/এসএইচ



























