শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০১, ৭ জুলাই ২০২৫

ইরাকে মিথেন গ্যাসে তুরস্কের ১২ সেনা নিহত

ইরাকে মিথেন গ্যাসে তুরস্কের ১২ সেনা নিহত
ছবি: সংগৃহীত

উত্তর ইরাকে একটি গুহায় তল্লাশি অভিযানে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তুরস্ক। অভিযানে অংশ নেওয়া সেনারা মিথেন গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

সোমবার (৭ জুলাই) বিবিসি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরাকের কুর্দিস্তানে তুরস্ক পরিচালিত এক অভিযানের সময় এই ঘটনা ঘটে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি গুহায় তল্লাশি ও পরিস্কার অভিযানে অংশ নেওয়া ১৯ সেনা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ১২ জন পরে হাসপাতালে মারা যান।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গুহাটিতে বিপজ্জনক মাত্রায় মিথেন গ্যাস জমে ছিল। যদিও মিথেন সরাসরি বিষাক্ত নয়, তবে ঘনবদ্ধ স্থানে এটি শ্বাসরুদ্ধকর হয়ে উঠতে পারে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে। কীভাবে সেখানে এত মাত্রায় মিথেন জমা হয়েছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান শোক প্রকাশ করেন এবং নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

সোমবার নিহতদের মরদেহ দক্ষিণাঞ্চলীয় হাক্কারি প্রদেশের একটি সামরিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিক বিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল ২০২২ সালের মে মাসে ‘অপারেশন ক্ল্যাউ লক’ অভিযানে নিহত এক সেনার মরদেহ উদ্ধার। অভিযানটি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-বিরোধী ছিল।

পিকেকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে আসছিল। যদিও চলতি বছর মার্চে সংগঠনটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় এবং মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে সশস্ত্র লড়াই বন্ধের ঘোষণা দেয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা তাদের ‘ঐতিহাসিক মিশন’ শেষ করেছে এবং এখন কুর্দি রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দায়িত্ব নেবে।

পিকেকে প্রধান আবদুল্লাহ ওজালান বর্তমানে তুরস্কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সকল সশস্ত্র গ্রুপকে বিলুপ্তির আহ্বান জানান, যার ধারাবাহিকতায় এই ঘোষণা আসে।