শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৩২, ৬ জুলাই ২০২৫

গাজা ধ্বংসের মূল্য এড়াতে পারবে না ইসরাইল

গাজা ধ্বংসের মূল্য এড়াতে পারবে না ইসরাইল
ছবি: সংগৃহীত

তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে উদ্ধৃত করে পার্সটুডে জানিয়েছে, হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যম ‘জেমান ইসরাইল’ এক প্রতিবেদনে ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীকে সতর্ক করে বলেছে, গাজায় সংঘটিত ধ্বংসযজ্ঞের চূড়ান্ত মূল্য থেকে ইসরাইল মুক্তি পাবে না। কেসেনিয়া স্বেতলোভা নামের একজন বিশ্লেষক এই নোটে লেখেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজায় যা ঘটেছে তা যতই গোপন করার চেষ্টা করা হোক না কেন, এক সময় তা বিশ্ববাসীর সামনে আসবেই এবং তখন আন্তর্জাতিক নীরবতা ভেঙে যাবে।

স্বেতলোভা মন্তব্য করেন, প্রকৃত সমালোচনা শুরু হবে যুদ্ধের অবসানের পর। তিনি লেখেন, ‘আবারও আমরা দেখতে পাচ্ছি চরমপন্থী মন্ত্রীরা বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধ সমাপ্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, আবারও অজানা সেনা-কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে ‘এখনো যুদ্ধ থামানো যাবে না।’ এই পুনরাবৃত্ত দৃশ্য আগেও দেখা গেছে এবং আবারও ঘটছে।’

তিনি আরও লেখেন, গাজা উপত্যকায় খাদ্য সংকটের পাশাপাশি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া বেসামরিকদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গুলি চালানো অব্যাহত রয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এমনকি অনিচ্ছাসত্ত্বেও স্বীকার করছে যে তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে এবং তা থেকে ‘শিক্ষা গ্রহণ’ করেছে।

স্বেতলোভা মনে করেন, বর্তমানে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠলেও যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা যখন বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত হবে, তখনই প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হবে। ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরী, নতুন শরণার্থী শিবির, হাজার হাজার এতিম, প্রতিবন্ধী, মারাত্মক সংক্রামক রোগ এবং বিপর্যস্ত জীবনযাত্রার বাস্তব চিত্র তখন বিশ্ববাসীর চোখের সামনে আসবে।

তিনি আরও বলেন, গাজা তখন হয়ে উঠবে ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের জীবন্ত প্রমাণ। তখন সেইসব ঘটনার ন্যায্যতা ব্যাখ্যা করা নীতিনির্ধারকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে, যদি অসম্ভব না হয়। সম্ভবত এ কারণেই তারা যুদ্ধের সমাপ্তি বিলম্বিত করছে কারণ তারা জানে, গাজার বাস্তবতা প্রকাশ পেলে বিশ্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।