বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৬:১২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রকাশ্যে এলেন ক্ষমতাচ্যুত অলি, দিলেন কড়া সতর্কবার্তা

প্রকাশ্যে এলেন ক্ষমতাচ্যুত অলি, দিলেন কড়া সতর্কবার্তা
ছবি: সংগৃহীত

জেন-জি বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ৯ দিন আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংবিধান দিবস উপলক্ষে ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে আন্দোলন, সহিংসতা ও নেপালের বর্তমান সংকট নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে অলি দাবি করেন, গত সপ্তাহের আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ বলা হলেও সেখানে ষড়যন্ত্রকারীরা অনুপ্রবেশ করে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে। সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়নি জানিয়ে সহিংসতায় এতো জন প্রাণ কিভাবে হারালো সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

অলি অভিযোগ করেন, পুলিশের হাতে যে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নেই, সেই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে সহিংসতা ঘটানো হয়েছে। এর তদন্ত দাবি করেন তিনি।

এসময় তিনি বিক্ষোভে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, নেপাল বর্তমানে সংবিধান ও সার্বভৌমত্বের বড় ধরনের হুমকির মুখে। দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, তার পদত্যাগের পর সিংহ দরবারে অগ্নিসংযোগ, জাতীয় মানচিত্র পোড়ানো, রাষ্ট্রীয় প্রতীক ধ্বংস, বিচারব্যবস্থা ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয়ে হামলা এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধ্বংসের মতো ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, সেনা নিরাপত্তায় ৯ দিন কাটানোর পর অলি ব্যক্তিগত এক জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। তবে তার বর্তমান অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর সরকারের আরোপিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা থেকে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্রুত রূপ নেয় দুর্নীতি ও অভিজাত শ্রেণির অপচয়ের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিদ্রোহে। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে এই আন্দোলনে হাজারো মানুষ অংশ নেয়। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনী, ফলে অন্তত ৭২ জন নিহত এবং দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনসহ একাধিক সরকারি স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী অলি।

সর্বশেষ