নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত ৫১

নেপালে চলমান ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেন-জি’ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত হয়েছেন অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ২৮৪ আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দেশটির পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ডিআইজি বিনোদ ঘিমিরে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ২১ বিক্ষোভকারী, তিন পুলিশ সদস্য, ৯ বন্দি, ১৮ জন অন্যান্য ও একজন ভারতীয় নারী রয়েছেন। খবর দি হিমালয়ান টাইমস।
স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. বিকাশ দেবকোটা বলেছেন, 'সারা দেশের ৫২টি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ২৮৪ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন।'
ড. বিকাশ দেবকোটা আরও জানান, 'এক হাজার ৭৭১ জনেরও বেশি আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'
নেপাল প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, বিক্ষোভের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে মোট ১৪ হাজার ৩০৭ জন বন্দি পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ‘শীতল নিবাসে’ এক বিশেষ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা প্রধান ও কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল।
প্রসঙ্গত, নেপাল সরকার ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার পর ‘জেন-জি’ নামে পরিচিত তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়। গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশ জনতার ওপর গুলি চালালে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়, যার মধ্যে অনেকেই স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থী।
নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও পুলিশের গুলিতে নিহতদের প্রতি ক্ষোভ ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনরোষের কারণে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু শীর্ষ নেতার বাড়িতে ও সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। কাঠমণ্ডু বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হলে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করে কিছু মন্ত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা ওলি।