কারফিউ ভেঙে জেন-জির বিক্ষোভ, পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

ফেসবুকসহ ১৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্লাটফর্ম বন্ধের ঘোষণা আসার পরে জেন -জির বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে হিমালয় কন্যা খ্যাত নেপাল। এই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছে। আর এই ঘটনার পর পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এই ঘোষণা আসে একদিন পর, যখন বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও নেতাদের বাসভবনে ভাঙচুর চালায় এবং রাজধানী ছাড়াও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার প্রজন্ম জেড আন্দোলনে পুলিশের দমন-পীড়নের পর থেকেই এ বিক্ষোভ জোরালো হয়।
সোমবার পুলিশের গুলিতে অন্তত ২০ জন বিক্ষোভকারী, যাদের মধ্যে শিক্ষার্থীরাও ছিলেন, নিহত হন এবং ৪০০-র বেশি তরুণ আহত হন। তারা দুর্নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার অবসান দাবি করছিলেন। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে নেপালি কংগ্রেসের সমর্থনে চতুর্থ দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন অলি। তবে সোমবারের রক্তক্ষয়ের পর থেকে তার ওপর চাপ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছিল। মানবাধিকার সংস্থা ও বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, নিরস্ত্র জনতার ওপর প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি দেয় তার প্রশাসন।
অলির পদত্যাগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, যেখানে তিনি ২০১৫–১৬, ২০১৮–২১, অল্প সময়ের জন্য ২০২১ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
দৃঢ় মনোভাব ও জাতীয়তাবাদী নীতির জন্য পরিচিত অলি স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তবে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও স্বৈরাচারের অভিযোগের মুখে তিনি ক্ষমতা ছাড়লেন।
মঙ্গলবারও কাঠমান্ডুসহ সারাদেশে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, কাঠামোগত সংস্কার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।