বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২১, ১৯ আগস্ট ২০২৫

পুতিন শান্তির জন্য প্রস্তুত নন, তবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে: ম্যাক্রোঁ

পুতিন শান্তির জন্য প্রস্তুত নন, তবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে: ম্যাক্রোঁ
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তবে তিনি সন্দিহান যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ মুহূর্তে সংঘাত সমাধানে প্রস্তুত।

সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকের পর এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, "পরিস্থিতি ও তথ্য দেখে আমি মনে করি না পুতিন এখন শান্তির জন্য প্রস্তুত। তবে হতে পারে আমি অতিরিক্ত নেতিবাচকভাবে দেখছি।"

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আশাবাদকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুতিনের সঙ্গে যদি কোনো চুক্তি সম্ভব হয়, তবে তা অবশ্যই ইতিবাচক এবং এ জন্য সব ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে উভয় পক্ষকে সমানভাবে দেখার সুযোগ নেই, কারণ একজন আগ্রাসী রয়েছে— সেটি রাশিয়া। "এটি এমন একটি দেশ, যারা মানুষ ও শিশু হত্যা করছে এবং শান্তি আলোচনায় কোনো আগ্রহ দেখায় না।"

তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, "নিষেধাজ্ঞাসহ সকল উপায়ে পুতিনকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন তিনি শান্তির দিকে এগিয়ে আসেন।"

ম্যাক্রোঁর মতে, যুদ্ধ থামাতে হলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। "শান্তি চুক্তি কার্যকর হবে না যদি সেই চুক্তিতে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না থাকে।"

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে ম্যাক্রোঁ বলেন, "যদি ট্রাম্প সত্যিই ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পান, তবে তা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।"

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, "বিশ্ব নেতারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার সময়ও রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনীয় নেতাদের জন্য শান্তি আলোচনা করা প্রায় অসম্ভব, যখন তাদের দেশ ধ্বংস হচ্ছে এবং নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।"

ভূখণ্ড বিনিময় ইস্যুতে ম্যাক্রোঁ স্পষ্ট করে বলেন, “এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ইউক্রেনের জনগণের। বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া কোনো সমাধান গ্রহণযোগ্য নয়।”

সোমবারের হোয়াইট হাউস বৈঠকে ম্যাক্রোঁ ছাড়াও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইয়েন, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুত্তে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেরজ এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি অংশ নেন।

ইউরোপে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সবচেয়ে খোলামেলা অবস্থান নেওয়া নেতাদের একজন ম্যাক্রোঁ। এর আগেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, রাশিয়া কেবল ইউক্রেন নয়, পুরো ইউরোপের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। ইউক্রেন পরিস্থিতি শুধু তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়, এটি ইউরোপ ও বিশ্বের জন্য এক বড় পরীক্ষা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সর্বশেষ